বৃহত্তর বাদ দিয়ে বিএনপির দলে ঐক্য রাখার চেষ্টাই শ্রেয়: তথ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি’র ভেতরেই ঐক্য নেই। তাদের বরং নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।’

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘২০২১ সালেই বিএনপি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতন ঘটাবে’ বলে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত তারা ডান-বাম-অতিবাম-অতিডান, প্রতিক্রিয়াশীল এবং ধর্মান্ধগোষ্ঠীর সবাইকে এক করে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। কাঁচের গ্লাসের মতো সেই ঐক্য ভেঙে গেছে। যে দলগুলো একত্রিত হয়েছিল, সেগুলোর অভ্যন্তরীণ ঐক্য নেই এবং বিএনপি’র ভেতরেও তা নেই। যেহেতু বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টায় কোনো ফল তারা পাননি সুতরাং তাদের নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।’

‘বিএনপি’র নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, গত কিছুদিন ধরে যেভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন এবং সামনে সারিতে বসা নিয়ে মারামারি করেছেন, এতে তাদের দলের যে প্রচণ্ড অনৈক্য, সেটি বেরিয়ে আসছে’ বলেন ড. হাছান।

‘ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে’ বিএনপির নেতা রিজভীর এমন মন্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ভুল সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধ্রুমজাল তৈরি হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যেই নিরসন হয়েছে। এরপরও একথাগুলো বলে বিএনপি জনগণের মধ্যে প্রথম থেকেই যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তা জিইয়ে রাখতে চায়।’ বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়েই এই ভ্যাকসিন পাবে, বলেন তিনি।

নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা কাদেরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা কাদের যে বক্তব্য রেখেছেন সেটির ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নোয়াখালীর আভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষাপটেই তিনি কথা বলেছেন, সারাদেশের রাজনীতি নিয়ে নয়। আমি মনে করি, আমাদের দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, যে কেউ তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারে, মির্জা কাদেরের বক্তব্য সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।’

এর আগে অনলাইনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন এবং সেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরি যে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আমাদের এই দেশ রচনা করেছিলেন, তাদেরকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়া-এরশাদ সাহেবদের আমলে অসম্মানিত, নিগৃহীত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন, তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের সন্তানদের জন্য চাকরিতে বিশেষ কোটার রাখা হয়েছে এবং প্রতি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।