লবণ অধ্যুষিত মোংলা বন্দরের উপকুলীয় এলাকায় বৃষ্টি নেই, চলছে প্রচণ্ড তাপদাহ, শুকিয়ে গেছে ডোবা ও পুকুরের পানি। প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষাধিক মানুষের সুপেয় মিষ্টি পানির একমাত্র স্থান পৌরসভার পানির প্রকল্প দুটি পুকুর, আর সেই প্রকল্পের পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এখন মানুষের জীবন বাঁচাতে একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি। তাই অনাবৃষ্টি ও পানি স্বল্পতার জন্য বিশেষ সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন এ এলাকার মানুষ। নামাজ আদায়ের ৩ ঘণ্টা পরই আল্লাহর রহমতের বৃষ্টিও শুরু হয়েছে মোংলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে মোংলার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে জনজীবন। মানুষের মাঝে নেমে আসছে চরম দুর্ভোগ, রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার সাধারণ মানুষ। উপকুলীয় গ্রামীণ জনপদের পুকুর ও ডোবায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে মারাত্মক পানি সংকট। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে আষাঢ়ে পা দিলেও নেই বৃষ্টির দেখা। তাই মানুষ হাহাকার করছে খাবার পানির জন্য।
ইমামরা বলেন, সৌদি আরবে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রতি বছরই একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ পড়া হয়। বিশেষ করে যখনই অনাবৃষ্টি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বেড়ে যায় তখনই নামাজে ইসতিসকার আদায় করা হয়। ইসতিসকার সালাত আদায় করা নফল ইবাদত। তবে মহামারি বা দুর্যোগ এলে এ সালাতের গুরুত্ব অনেক বলে জানান তারা।
ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। উপকুলীয় এলাকায় প্রচণ্ড তাপদাহে দেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট লাগবের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা সুন্নত, একেই বলা হয় ইসতিসকার অর্থাৎ আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করা।
গত ৭ মে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র ফলে দুইদিন বৃস্টি হলেও অদ্যাবধি কোন বৃষ্টির দেখা মিলছে না মোংলা উপকুলে। এছাড়া সম্প্রতি খনন করা ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় দুটি পানি সরবরাহ প্রকল্প থাকলেও কোন কাজে আসছে না মোংলাবাসীর।