হঠাৎ বৃষ্টিতে পহেলা বৈশাখের আনন্দে ভাটা পড়েছে। শনিবার বিকাল বেলা হঠাৎ করেই শুরু হয় বৃষ্টি।
শুরুতে বৃষ্টি কম থাকলেও পরে বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বইতে থাকে। নগরবাসীর যারা প্রখর খরতাপের কারণে দিনের প্রথমভাগে বের হননি তারা বিকালে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বিপাকে।
রাজধানীর শাহবাগ, টিএসসি, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় পহেলা বৈশাখের আনন্দ উপভোগ করতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে যান অনেকেই।
বৃষ্টিতে আটকে পড়া মানুষ যেন বাসায় ফিরতে পারে সেজন্য কাকরাইল-মৎস্য ভবন-প্রেসক্লাব-পল্টন রুট যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই রুটে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় দিনের যেকোনো সময় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা ছিল এবং একই সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই এই বৃষ্টি। এর আগে শুক্রবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। এর প্রভাবে দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশপাশি আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে নববর্ষ উদযাপন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, বাংলা একাডেমি, শাহবাগ, রমনা পার্ক, ধানমন্ডি, বনানী, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীদের চলে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাস্তায় বসে থাকা বাহারি পণ্যের বিক্রেতাদেরও চলে যেতে দেখা গেছে।