#
জহিরুল ইসলাম.

মানবতার জয় হয়েছে। আমার ফেসবুক, পত্রিকায় নিউজ ও ওনলাইন নিউজ প্রোর্টালে সংবাদ প্রচারের পর শিকলে বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নূরজাহান। পেল একটি হুইল চেয়ার ও কিছু চিকিৎসা সহায়তি উপহার দেয়া হল।

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান স্যার নুরজাহানের বাড়ীতে গিয়ে দেখে এসেছে তাকে এবং uno স্যারের এক বন্ধু Avijit Sarker দেয়া চিকিৎসা বাবদ ৫০০০/ টাকা ও ফেসবুক আইকন মামুন বিশ্বাস দিয়েছে একটি হুইল চেয়ার ও কিছু অর্থ সব মিলিয়ে মোট ৭৫০০/ টাকা নূরজাহানের বাবা মায়ের হাতে তুলে দেয়া হল।

এছাড়া জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা স্যার নূরজাহানকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছে। অতি শীঘ্রই হবে তার বিনামূল্যে চিকিৎসা। সে জন্য খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে কথা বলেছে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান স্যার কথা বলেছে। আশা করি নূরজাহানের সুচিকিৎসা হবে। সাভাবিক আলোয় ফিরে আসবে নূরজাহানের জীবন।

ধন্যবাদ পবিত্র এই কাজের সাথে সহযোগীতা করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা স্যার, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান স্যার, ফেসবুক আইকন মামুন বিশ্বাস ও বেলকুচি থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ ভাইকে।

বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই আমার ফেসবুক বন্ধুদের তারা কমেন্ট ও শেয়ার করে সহযোগীতা করেছেন।

দারিদ্রতার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেনা নুরজাহান নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে। হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় তাকে। তাকে দেখলে মনে হয় ১০-১২ বছরের কিশোরী। আসলে তার বয়স হয়েছে ২২। ছোট বেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ার পর দিরে দিরে তার এ অবস্থা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তার মা-বাবা। চিকিৎসা করালে হয়তো ভালো হবে নুরজাহান।

মানসিক প্রতিবন্ধী নুরজাহান (২২) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার ক্ষিদ্রমাটিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের দিনমুজুর আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর ছোট মেয়ে।

নুরজাহান সুস্থ্য হয়ে বাচতে চায়, কিন্তু কি করে সম্ভব, কারন দরিদ্র পরিবারে নুর জাহানের জন্ম। মা-বাবা খুবই অসহায় দরিদ্র। চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ্য নেই তাদের।

বাবা আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি নুরজাহান সবার ছোট মেয়ে। দিন মুজুরের কাজ করে চলে তাদের সংসার। তাই টাকার অভাবে করতে পারছে না চিকিৎসা।

এদিকে প্রতিবন্ধি নুরজাহান বাড়ী থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে তার হাতে শিকল দিয়ে বেধে রাখে তার বাবা মা।

প্রতিবন্ধি নুরজাহানের মা ফাতেমা খাতুন জানান, ছোট বেলায় নিউমোনিয়া হয়েছিল। টাকার অভাবে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করতে পারছিনা, গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করেছি। তারা বলছে নুরজাহানের ভাল চিকিৎসার অভাবে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করলে নুরজাহান ভাল হয়ে যাবে। সরকারী ভাবে যদি আমার মেয়ে নুরজাহানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করে তাহলে আমারা খুবই খুশি হতাম। তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করতাম।

নুরজাহানের বাবা আব্দুল কদ্দুছ বলেন, আমার মেয়ে হারিয়ে যাবে বলে তাকে ছিকল দিয়ে বেধে রাখি। যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় খুজবো মেয়েকে। টাকা নেই তাই মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমি টাকা চাইনা। কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার মেয়েকে চিকিৎসা করালে আমি কৃতজ্ঞ হতাম। এছারা মেয়ের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য সাবেক কাউন্সিলর গোলজারের কাছে ঋণ করে ২হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সে ভাতার কার্ডও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি।

বেলকুচি থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নুরজাহানকে দেখে। তার পর সে আমাকে তথ্যটি দিয়ে সহযোগীতা করেছে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন