ইরানকে গুণে গুণে ৬ গোল দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচে আবার যেন থ্রি লায়ন্সদের তর্জন-গর্জন থেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে ড্র করে উল্টো জমিয়ে দিয়েছে বি গ্রুপের লড়াই। যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে ইংল্যান্ড এর আগে তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে ড্র করেছে আর একটিতে হেরেছে। এবারও জয়ের মুখ দেখেনি।
এই গ্রুপ থেকে ২ ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ চার পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে ইংল্যান্ড। তিন পয়েন্ট নিয়ে ইরান দ্বিতীয় ও ২ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় অবস্থানে আছে। আর ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে আছে ওয়েলস।
চার দলের সামনেই থাকছে রাউন্ড ষোলোতে যাওয়ার সুযোগ। ইংল্যান্ড-ওয়েলস এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ম্যাচ কার্যত অলিখিত ফাইনাল চার দলের জন্যই। আল বায়াত স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্ছ মোট ১২ ম্যাচে গোল শূন্য ড্র করে ইংলিশরা। আর বিশ্বকাপের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের এটি প্রথম ড্র।
অবাক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গতি আর হার না মানা মানসিকতা। ইংল্যান্ডও কম যায়নি। তবে তাদের সেরাটা খেলতে পারেনি। ডিফেন্সে বারবার ইংলিশ আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন মার্কিন ডিফেন্ডাররা।। বাঁ দিক থেকে বারবার উঠে এসে আক্রমণে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলছাড়া থাকতে হয় মার্কিনদের।
ইংল্যান্ড বারবার মাঝ মাঠে বলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ভাগে গ্রিলিশ-রাশফোর্ড নামলে খেলার একটু গতি বাড়ে। কিন্তু ডি বক্সে যেয়ে যেন এলোমেলো হয়ে পড়েন কেনরা। যোগ করা সময়ে একটি দারুণ সুযোগ মিস করেন কেন। হেডে ব; পাঠিয়ে দেন বাইরে।
পুরো ম্যাচে আক্রমণের দিকে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচে শট নিয়েছে ১০টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ড নেয় আরও দুটি কম। ৮টির মধ্যে তিনটিই ছিল অন টার্গেট। কিন্তু তখন বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মার্কিন গোলরক্ষক। অবশ্য বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডেরর রাজত্ব। ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে।