বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, পল্টন থানার ওসি বরখাস্ত

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, চাকরি দেয়ার কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সদর দফতর ইতোমধ্যে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের ‘সত্যতা’ পায়। পরবর্তীতে পুলিশ সদর দফতর তাকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী রাতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

ওই নারীর অভিযোগ, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে ‘চেতনানাশক কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ সদর দফতরে করা লিখিত অভিযোগে ওই নারী বলেন, চেতনা ফেরার পর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ‘ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা’ বলেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে ‘বাধ্য করেন’। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।

এ পরিস্থিতিতে ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।

আর কোনো উপায় না দেখে একসময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে লিখেছেন ওই নারী।

গত আগস্টের শুরুতে ওই নারী পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।