বিয়েতে ছেলের খালার আপত্তি, বরগুনায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

দেড় বছর ভালো বেশে সুজন ও তামান্নার বিয়ের দিনখন ঠিকের পর মেয়ের পরিবার দরিদ্র মা বিদেশে থাকে তাই ছেলের খালার আপত্তিতে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় অভিমান করে বিষ পানের ৬ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে অবশেষে মারা গেলেন তানান্না (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রী।

ঘটনা ঘটেছে হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তামান্না ওই গ্রামের বাচ্চু মোল্লার একমাত্র মেয়ে।

তামান্নর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তামান্না (১৭) বেগমের সাথে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের মেখলেছুর রহমানের ছেলে সুজন হাওলাদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুজন পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী ।

সুজন এবং তামান্নার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দুই পরিবারের সিদান্ত মতে ১০ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়িতে বসে বিয়ে সম্পন্নের দিনখন নির্ধারন হয়। এর মধ্যে ছেলে সুজনের খালা মাহফুজা বেগম বিয়েতে বাঁধ সাধেন। ভেঙ্গে যায় বিয়ে।

এমন খবরে তামান্নার ঘরে থাকা পোকা মারার বিষ পান করে এসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাৎক্ষনিক স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা সংকটপন্ন হলে ওই দিন দুপুরেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় তামান্নাকে। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে শনিবার সকাল ৮টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন তামান্না। তামান্নার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মোর মাইয়াডারে বিয়ার আশ্বাস দিয়া সব শ্যাষ করে দিছে সুজন। শুক্রবার বিয়ার তারিখ দিয়াও ছেলে সুজনের খালা মাহফুজা বেগম মোরা গরিব বইল্যা বিয়া ভাইঙ্গা দেয়।

অভিযুক্ত সুজনের খালা মাহফুজা বেগম জানান, বিয়ার তারিখ অইছিল। মেয়ের বাবা মা গরিব তাই আমরা বিয়া করাতে রাজি ছিলাম না। মেয়ে কি কারনে বিষ খাইছে সেটা আমাদের জানা নাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সুজন এবং তামান্নার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানতে পারি। এর মধ্যে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় তামান্না বিষপান করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায়। সেখানে তার ময়না তদন্তও সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।