বিসিসি মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ’র ১৭ অক্টোবর !

:
: ৬ years ago
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)

নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপেক্ষায় নগর ভবন। মেয়রসহ ৩১ কাউন্সিলরের নির্বাচিত হওয়ার গেজেট প্রকাশ হলেও শপথ না নেয়ায় নগর ভবনে দায়িত্ব নিতে পারছেন না। তবে এর অবসান ঘটছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। আগামী ১৫ কিংবা ১৭ অক্টোবর নতুন মেয়র সেরনিয়াবাদ আবদুল্লাহ শপথ নিবেন। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশারেফ হোসেন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। তার নির্ধারিত সময়ের উপর নির্ভর করছে চুড়ান্ত দিনক্ষন। এমন তথ্য জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে।

রিটানিং অফিসার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, নগরীর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহনের সম্ভাব্য দিন আগামী ১৫ বা ১৭ অক্টোবর। এ দুই দিনের যে কোন একদিন নব নির্বাচিতদের শপথ পাঠ করানো হবে। এমন হিসেব করেই নবনির্বাচিতদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, রিটানিং অফিসারের দপ্তর এবং বিজয়ী একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। ওই সুত্র জানায়, গত ৮ অক্টোবর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। গেজেট অনুযায়ী এখন মেয়রসহ কাউন্সিলরদের শপথ নেয়ার পালা। নির্বাচতদের মধ্যে মেয়রকে প্রধানমন্ত্রী ও কাউন্সিলরদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্য্যালয় থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ অনুষ্ঠানের চিঠি পাঠানো হবে। এছারা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠানের কোন চিঠি জেলা প্রশাসক কিংবা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্য্যালয়ে এসে পৌছেনি। তবে মৌখিকভাবে বিজয়ীদের শপথ নেয়ার সম্ভাব্য দিন জানিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলালুদ্দিন খান জানান, বর্তমান মেয়রের পদত্যাগের পরের দিনই নতুন মেয়রের যোগদান করতে হবে, এমন কোন নিয়ম নেই। যে কোন কারনে যোগদান বিলম্বিত হতে পারে। তবে যেদিন থেকে নতুন মেয়র যোগদান করবেন তার পরবর্তী ৫ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। গেজেট প্রকাশের পর যে কোন দিন কমিশন শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ন সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শপথ পাঠ করার সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান মেয়রের ৫ বছর মেয়াদ পূর্তির পরের দিনই নতুন মেয়রের যোগদান ও কর্মদিবস শুরু হবে। তবে অনেক সময়ে বিভিন্ন কারনে বিলম্বিত হতে পারে। যোগদানের পরের দিন থেকেই পরবর্তী ৫ বছর দায়িত্ব পালন করবেন।