বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) গত ২৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে এক নোটিশে নাগরিকদের ডেকে শুনানীর মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারীত হোল্ডিং ট্যাক্সকে বর্ধিত করেন।শুনানীতে গ্রাহকদের সামর্থ্যকে কোনই গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ গুণ পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে ।নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য কর বৃদ্ধি করতেই পারে কিন্তু তাই বলে পরিশোধিত করের কর বৃদ্ধি করা কতটা যুক্তিযুক্ত?আর কত হয়রানির শিকার হবে নগরবাসী?
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নাগরিক মোঃ হানিফ (ছদ্ম নাম) গত অর্থবছর ২০১৬-২০১৭ বিল কোন বকেয়া ছাড়াই সময়মত পরিশোধ করেন।কিন্তু পরিশোধিত বিলের সাথে বিগত অর্থবছর অর্থবছর ২০১৬-২০১৭ কর (বর্ধিত হারে) বিলসহ একত্রে দু’টি অর্থবছর ২০১৭-২০১৮ বিলের কপি সাথে বকেয়া হিসেবে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বিগত বছর গুলোতে কোন বকেয়া নেই তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা।
গত অর্থবছরে যেখানে বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬।নিয়ম মোতাবেক নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই বিলও পরিশোধ করেছিলো।বিসিসি কোন যুক্তিতে সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে বিল পরিশোধের দুই মাস পরে নভেম্বর ২০১৬ তারিখে শুনানী করে বিগত অর্থবছর সহ বিল করলো।
কর বৃদ্ধি বিষয়ে কথা বলার জন্য নগর ভবনে গেলে বি.সি.সি. প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা প্রধান কর কর্মকর্তা কাউকেই না পেয়ে কর ধার্য্য বিভাগের কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জানান, উপরস্থ কর্মকর্তাদেও সিদ্ধান্ত চূড়ান্তবলে গন্য হবে। এখানে তাদের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন।