বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনরত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন করে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছে। তারা গত অর্ধমাস ধরে এই আন্দোলন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন অচল করে রেখেছে। গতকাল রোববার টানা ১৫তম দিনের কর্মবিরতী এবং অবস্থান কর্মসূচি চলকালে নতুন কর্মসূচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা। এদিকে টানা ১৫ দিন কর্মবিরতীর ফলে নগর ভবন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা প্রতিদিন নানা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন নিরাশ হয়ে।
টানা তৃতীয় সপ্তাহের আন্দোলনের প্রথম দিন গতকাল সকালে নগর ভবনের ২য় তলায় মেয়রের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতির পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনরত স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থেমে থেমে বিক্ষোভ করেন। তারা জানান, বিসিসি’র স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারী মাসে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন। সে হিসেবে এখনই তাদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া। অপরদিকে দৈনন্দিন মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন বকেয়া পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ দিকে দাবি আদায়ের লক্ষে আজ সোমবার নতুন কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা দিয়েছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশনে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রতি মাসে বেতন বাবদ প্রয়োজন প্রায় আড়াই কোটি টাকা।