শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বেশি যে দুটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তার একটি হলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে ক্রীড়াঙ্গন। প্রায় প্রতিদিনই মিরপুরে তার পদত্যাগের দাবিতে মিছিল-মিটিং হচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াও আইসিসির আইন মেনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে থাকা বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিসিবির এক বোর্ড পরিচালককে নিজের ইচ্ছার কথা জানান পাপন। সেই পরিচালকই বোর্ডের অন্য সক্রিয় পরিচালকদের এ কথা জানিয়েছেন গতকাল। ধারণা করা হচ্ছে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশের এক শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির ওই পরিচালক বলেন, ‘বিসিবিতে সংস্কারের সুযোগ করে দিতে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে লিখিতভাবে বোর্ডকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, যেটি পরে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন করতে হবে।’
গঠনতন্ত্রের এ নিয়মের কারণে বোর্ডসভা কীভাবে ডাকা হবে? কারণ, বোর্ডসভা ডাকতে হয় সভাপতিকে। তবে নিয়ম আছে। স্বশরীরে উপস্থিত না থেকেও বোর্ড সভা ডাকতে পারবেন বিসিবি সভাপতি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সভা ডেকে সেখানে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব সভাপতি তার অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো পরিচালকের ওপর ন্যস্ত করতে পারেন। অথবা সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিতদের কারও প্রস্তাবে যেকোনো একজন পরিচালক সভাপতিত্ব করতে পারেন। বিসিবি সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠালে এই সভা ডাকা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।