‘নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩’ সংশোধনের বিষয়ে কমিশন নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পিএসসির পূর্ণ কমিশন সভায় এ বিধি চূড়ান্ত করা হয়। রাত ৮টার দিকে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩’ সংশোধনের বিষয়ে কমিশন নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরবর্তী কমিশন সভায় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
জানা গেছে, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদসংখ্যা সীমিত থাকায় অনেকে ক্যাডার হতে পারেন না। তাদের মধ্য থেকে অনেকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পান। এক্ষেত্রে ‘নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০২৩’ অনুসরণ করা হয়। ওই বিধি অনুযায়ী, ক্যাডারের সঙ্গে নন-ক্যাডারেও শূন্যপদ উল্লেখ করা হয়। ফলে কমসংখ্যক প্রার্থী নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুযোগ পান।
বিষয়টি নিয়ে প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ক্ষোভ জানিয়েছেন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভও করেছেন তারা। তাতে সাড়া দেয়নি বিগত সরকার ও পিএসসি। এবার নন-ক্যাডার নিয়োগের সেই বিধিমালা সংশোধন করতে যাচ্ছে পিএসসি।
পিএসসি সূত্র বলছে, নন-ক্যাডার নিয়োগের বিদ্যমান বিধির কারণে বিসিএসের মৌখিক পরী ক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বহু প্রার্থী নিয়োগবঞ্চিত হচ্ছেন। উত্তীর্ণরা সবাই যাতে অন্তত নন-ক্যাডারে নিয়োগ পান পান, সেই চেষ্টা করছে পিএসসি। এ নিয়ে পূর্ণকমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিএসসির একজন দায়িত্বশীল সদস্য জানিয়েছেন, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হন, তারা তো সবাই মেধাবী। পদ স্বল্পতার কারণে সবাইকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয় না। তাদের যদি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্রের জন্যই ভালো হবে। এজন্য সবাই যাতে নন-ক্যাডার হতে পারেন, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিধিমালা সংশোধনীটি চূড়ান্ত হলে নিয়মটি চালু হবে।