#

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে না, তাদের চিন্তার প্রসারতা বাড়ায়। গবেষণার মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন জ্ঞানের যা যুগের চাহিদা পূরণে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

একবিংশ শতাব্দী তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। সময়ের সাথে যুগের চাহিদা কে ধারণ করে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা। কারণ গুণগত শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন।

উচ্চশিক্ষা যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেটসর্বস্ব না হয় তার সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। জ্ঞানের আদান-প্রদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন আপনারা উন্নত জাতির তৈরির মহান কারিগর। আপনাদের হতে হবে সত্যান্বেষী। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী।

দেশের কল্যাণে আপনারা হবেন আলোর দিশারী জ্ঞানের ফেরিওয়ালা। শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ অনুসরণ করবে যার প্রভাব পড়বে তার কর্মজীবনে। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আপনারা জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এ সময় জেলার পাঁচ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থী।

 

শিক্ষার্থীরা হলেন; কৃষি অনুষদের কামরুজ্জামান রানা, নাসরিন পারভিন, তানজিলা আহমেদ, মিতু সমাদ্দার, নাজমুল হাসান মেহেদী, শেখর মন্ডল, আনিসুর রহমান, পর্না দাস, হাবিবা জান্নাত মীম, শারমিন সুলতানা।

এএনএসভিএম অনুষদের ভেটেরিনারি মেডিসিনের আহসান উল্ল্যাহ মানিক, ফাহমিদা আফরোজ, আল ইমরান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইদুজ্জামান রনি, এস এম হানিফ, সাবরিনা বিনতে আলমগীর, মো. সোহাগ, প্রীতি কুমারী চৌধুরী, শম্পা রানী, মিজানুর রহমান।

এএনএসভিএম অনুষদের পশু পালনের মাহবুবা সুলতানা, মৌমিতা সাহা, সানজিদা মুনমুন, সানজিতা রানী পাল। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের আফজাল হোসেন, মাওয়া সিদ্দিকা, রাশেদুজ্জামান, নুসরাত বিনতে নূর, শ্রাবনী সরকার, মাকসুদুল ইসলাম।

ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের নাদিরা আফরোজ, শেখ রাশেদ আল ইমরান, জাকারিয়া আরেফিন, দিবাকর চন্দ্র দাস, ইসরাত জাহান, সাব্বির হোসাইন, শেখ নাজমুন নাহার, ইয়াসমিন আক্তার, আল ইমরান, শরিফুল ইসলাম।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শোহাদা শারমিন, নাইমুর রহমান, সজল সাহা, তানিয়া ইসলাম, স্বর্ণা মজুমদার, মইনুল ইসলাম সাঈদ, মতিউর রহমান, ফারজানা সুলতানা মিম, আতিকুর রহমান, মানীষ সাহ্।

পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষদের পূজা কুমারী চৌধুরী, সুমাইয়া সাহরিন, শারমিন আক্তার, মো.হাসিব। মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সুপ্রকাশ চাকমা, আমিনুল ইসলাম, মীর মোহাম্মদ আলী, ইসরাত জাহান মিলি, নিউটন সাহা, মো.সোলাইমান, প্রান্ত সাহা ও ঋতুপর্ণা দাস।

সমাবর্তনকে নিয়ে বিবিএ অনুষদের সাবেক ছাত্র মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও কৃষি অনুষদের সাবেক ছাত্রী রোমানা আফরোজ বলেন, এই অপরুপ ক্যাম্পাসে রেখে যাওয়া সব স্মৃতি এক নিমিষেই যেন চোখের সামনে ভেসে আসছে।

ক্লাস, পরীক্ষা, এসাইনম্যান্ট, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা এ সব যেন এখন শুধুই মায়া। আর আজকে সবার গায়ে কালো গাউন, হ্যাট, ছবি তোলার এ উৎসব যেন আমাদের নতুন দিগন্তে আহ্বান করছে।’

এবারের সমাবর্তনে প্রায় ৩ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে স্নাতক এক হাজার নয় শত আটষট্টি জন, স্নাতকোত্তর নয় শত একান্ন জন ও পিএইচডি নয় জন।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন