বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) গত বছরের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের উন্নয়নশীল ১১৯টি দেশের তালিকায় গত বছর বাংলাদেশ ৯০তম অবস্থানে থাকলেও এবার দুই ধাপ এগিয়ে ৮৮তম স্থান পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) চলতি বছরের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতির খবর দেয়া হয়েছে।
সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ক্ষুধার হার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভারতের (১০০তম) ক্ষুধা সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান তৃতীয়। ১১৯ দেশের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ক্ষুধায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে আফগানিস্তান (১০৭তম), পাকিস্তান (১০৬তম)।
প্রতিবেশী দেশগুলোর পেছনে রয়েছে ভারত (১০০তম), নেপাল (৭২তম), মিয়ানমার (৭৭তম), বাংলাদেশ (৮৮তম), শ্রীলঙ্কা (৮৪তম) এবং চীন (২৯তম) অবস্থানে আছে।
স্কোর ৯.৯ অথবা তার চেয়ে কম হলে ক্ষুধা সমস্যাকে ‘কম ক্ষুধা’; ৩৫ থেকে ৪৯.৯ স্কোরকে ‘আশঙ্কাজনক’ এবং ২০ থেকে ৩৪.৯ স্কোরকে ‘গুরুতর ক্ষুধা’ সমস্যা হিসাবে নির্ধারণ করেছে জিএসআই। সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৬ দশমিক ৫ স্কোর; আগের বছরের তুলনায় স্কোরে অগ্রগতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের এই স্কার ছিল ৩২ দশমিক ২।
সবচেয়ে বেশি ক্ষুধায় জর্জরিত যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (১১৯তম)। এরপরই আছে চাঁদ (১১৮তম), সিয়েরালিওন (১১৭তম), মাদাগাস্কার (১১৬তম) ও জাম্বিয়া (১১৫তম)।
জনসংখ্যার পুষ্টিহীনতা, শিশু মৃত্যুসহ চারটি সূচকের সমন্বয়ে জিএইচআই তৈরি করা হয়েছে। জিএইচআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ক্ষুধার মাত্রা ২০০০ সালের চেয়ে ২৭ শতাংশ কমে এসেছে।
সূত্র : রিলিফওয়েব।