বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটি মানুষ পানি সংকটে ভুগছে। গত দুই দশকে জনপ্রতি সুপেয় পানির সহজ প্রাপ্যতা এক পঞ্চমাংশ কমেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৫০ কোটি মানুষ তীব্র পানি সংকট কিংবা খরার সমস্যার মধ্যে বাস করছে। জলবায়ু পরিবর্তন, পানির চাহিদা বৃদ্ধি ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্বব্যাপী কৃষি খাতকে সমস্যার মুখে ফেলেছে।
জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পানিসম্পদ সংরক্ষণের ব্যর্থতার কারণে কয়েকশ কোটি মানুষ ক্ষুধার কবলে পড়তে পারে এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু ডংইউ বলেছেন, ‘পানির অভাব (সুপেয় পানি সম্পদের সরবরাহ ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা) ও পানির স্বল্পতাকে (অপর্যাপ্ত বৃষ্টির নিদর্শনের প্রতিচ্ছবি) আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, যা আমাদের বসবাসের জন্য এখন বাস্তব…কৃষিখাতে পানির স্বল্পতা ও অভাবকে অবশ্য দ্রুত ও মোটাদাগে বর্ণনা করতে হবে।’
তিনি জানান, ক্ষুধা দূর ও সুপেয় পানির পাওয়ার উন্নয়ন করতে জাতিসংঘের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তা এখনও নাগালের মধ্যে। তবে বিশ্বব্যাপী কৃষিকাজের উন্নয়ন ও সম্পদের সমপ্রাপ্যতা ব্যবস্থাপনার জন্য আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে।
স্টেট অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাব-সাহারা অঞ্চলে প্রচণ্ড খরার কারণে প্রতি তিন বছরে কৃষিজমি ও চারণভূমিতে বিপর্যয়কর প্রভাব পড়ছে। এই অঞ্চলে বাস করে পাঁচ কোটি মানুষ। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল বিশ্বের এক দশমাংশের বেশি কৃষিজমি বারবার খরার কবলে পড়ছে।