বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে যাচাই বাছাই করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযানে নামছে সংস্থাটি।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৯৮টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমধ্যে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয় নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে আরও যাচাই বাচাই করে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস, প্রোগ্রাম, আসন ও সেমিস্টার চালাচ্ছে কি না, তা জানতে মাঠে নেমেছে ইউজিসি। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছে ইউজিসি।
এতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিশন অনুমোদিত প্রোগ্রাম, অননুমোদিত আসন সংখ্যা ও প্রতিটি প্রোগ্রামের বিদ্যমান সকল শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তথ্য আগামী সাত কর্মদিসের মধ্যে পাঠাতে হবে।
চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. ওমর ফারুখ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বশেষ চিত্র জানতে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের কাছে যে তথ্য আছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি অবস্থা আছে, তা জানা প্রয়োজন। এটা নিয়মিত চাওয়া হয়।’
এদিকে ওই ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ায় সর্তকতা জারি করেছে ইউজিসি। গণবিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd ) দেখে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
ইউজিসি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি থেকে নিয়োগ করা ভাইস চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। অথচ ৯৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার সবাই নিয়োজিত রয়েছেন। ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োজিত রয়েছেন। তবে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে কোনো ব্যক্তি নেই।