দেশ কী চায়, অনুরাগীরা কী চায়, মন কী চায় জানেন তিনি। কিন্তু বারেবারে সবটুকু করেও, সব পাওয়া হচ্ছিল না।
কোথায় যেন আটকে যাচ্ছিল। আর তাই নিন্দুকের দল হাসছিল অট্টহাসি। অবশেষে সেই সব না পাওয়া, পাওয়ায় পরিণত হল বুধবার ভোরে।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের টিকিটটা এনে দিতে পেরে তিনিও কতটা স্বস্তি পেয়েছেন, পরিষ্কার হয়ে গেল মেসির কথাতেই। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে মেসি আর তার সতীর্থরা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি। তবে এদিন বললেন।
মেসি বলেন, ‘ইকুয়েডরে খেলতে আসার আগে ভয় কাজ করে। সব সময়। কিন্তু আমরা লাকি।
তাই ঠিক সময়ে জ্বলে উঠেছি। আমরা ধির ছিলাম, স্থির ছিলাম। আমরা গোল করেছি। যে গোলের লক্ষ্যটা নিয়েই এসেছিলাম এখানে। বলতে পারেন, কাজের কাজটা করতে পেরেছি। ’
এরপর মেসির মনের একেবারে ভেতরের কথাটা বেরিয়ে এলো, ‘বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা নেই, তেমনটা হলে, পাগলামি বলতে হত। এই দলের ক্ষমতা আছে বিশ্বকাপে খেলার। আমরা তিন–তিনটে বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পরও সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। জানেন, আমরা মিডিয়ার থেকে, সাধারণ মানুষের থেকে ইচ্ছে করেই দূরে ছিলাম। এই দূরত্বটাই আমাদের মানে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের কাছাকাছি এনেছে। বিশ্বাস করি, এভাবে হাতে-হাত রেখে যদি এগোতে পারি, তা হলে আমাদের সব কাজ সহজ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দু’দুটো কোপা আমেরিকা আর বিশ্বকাপ ফাইনালে আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা একেবারেই ঠিক হয়নি। আশা রাখছি, এবার আমরা অন্তত কাপটা হাতে নিতে পারব। নিজেদের জন্যই ওই কাপটা হাতে নিতে চাই। যোগ্যতা পর্বটা উপভোগ করেছি। আমাদের দল প্রতিদিন তৈরি হবে। প্রতিদিন বড় হবে। দলটা বদলাবেই। বিশ্বকাপে অন্য এক আর্জেন্টিনাকে দেখবেন। এই আর্জেন্টিনা আরও আরও উন্নত হবে। ’