ফুটবল বা চর্মগোলক। যাকে ঘিরে সবুজ গালিচায় চলে যুদ্ধ। এই বলটিকে ঘিরে থাকে আগ্রহ। বিশেষ করে বিশ্বকাপের বল নিয়েই হয় বেশি আলোচনা। বিশ্বকাপের শুরুর দিকে এতটা উন্নত ছিল না বলগুলো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন হয়েছে বলগুলো। নিত্যদিন এই চর্মগোলকটিকে নিয়ে চলছে গবেষণা। খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা।
আকারে, রঙে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখন আবার চলছে আধুনিকায়নও। চামড়ায় বসছে নানা ধরনের মাইক্রো চিপ। রাশিয়া বিশ্বকাপের বলেও উন্নতমানের মাইক্রো চিপ ব্যবহার করেছে খেলাধুলার সামগ্রী প্রস্তুতকারী বিশ্বের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। ১৯৭০-এ এসে প্রথমবারের মতো অ্যাডিডাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বল তৈরির। এর পর থেকে তারাই জোগান দিচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের বলগুলো। রাশিয়া বিশ্বকাপের বলটির নাম দেওয়া হয়েছে টেলেস্টার এইটটিন।
টেলেস্টার শব্দটি ইংরেজি টেলিভিশন ও স্টার শব্দ দুটির মিশ্রণে তৈরি করে অ্যাডিডাস। বলটিতে যে মাইক্রো চিপ ব্যবহার করেছে তারা, তাতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বলটির সব তথ্য সহজেই পেয়ে যাবে এর মালিক। ১৯৭০ বিশ্বকাপের বলের আদলে পাকিস্তানের শিয়ালকোট ভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ফরোয়ার্ড স্পোর্টস অ্যাডিডাসের হয়ে টেলেস্টার বলটি তৈরি করে।
সাদা-কালো যুগের বলকে রঙিন দুনিয়ায় নতুন করে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে অ্যাডিডাস। ১৯৭০ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা হয়েছিল টেলেস্টার বলে। সেই সময় পেলে ও বেকেনবাওয়ারের মতো কিংবদন্তিরা এই বল দিয়ে খেলেছিলেন। ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছিল টেলেস্টার। ২০১৮ সালে এই বল তৈরির ৫০ বছর হবে।
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে ‘টেলেস্টার এইটটিন’। ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ‘টেলেস্টার’ বল। সাদা-কালো টেলিভিশনে খেলা দেখতে যাতে সুবিধা হয়, সে জন্য এই বল দিয়ে খেলা চালানো হয়েছিল। তখন নামকরণ করা হয়েছিল ‘স্টার অব টেলিভিশন’।