ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছিল ‘আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ।’ যেখানে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রতি ওয়ানডে জয়ের জন্য ১০ পয়েন্ট করে পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডেও বাংলাদেশের একই চ্যালেঞ্জ।
হারলে ১০ পয়েন্ট হাতছাড়া। জিতলেই ১০ পয়েন্ট। ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করার লড়াইয়ে থাকতে হলে বাংলাদেশের ম্যাচ জিততেই হবে। সেই লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জিতেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সফর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আবার ঘরের মাঠে খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে আরও ২১ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সরাসরি খেলতে হলে জিততে হবে অন্তত ১৪ ম্যাচ। তাহলে র্যাংকিংয়ে সেরা আটে থাকার সুযোগ হবে। নয়তো বিশ্বকাপে নাম লিখতে পার হতে হবে বাছাই পর্ব। বিশ্বকাপের পথ সুগম করতে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জিততে চান নিউ জিল্যান্ডেও। কাজটা কঠিন হলেও অসাধ্য নয়।
বৃহস্পতিবার তামিম বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই সিরিজ ও সামনে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা সিরিজ আছে। সাধারণত এই দুইটা দেশে আমাদের ফলাফল খুব একটা ভালো না। এসব জায়গায় এসে যদি আমরা ম্যাচ জিতি তাহলে জিততেই হবে যেসব সিরিজ আছে সেখানে একটি ম্যাচ দূর্ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। আমাদের উপর অতো চাপ পড়বে না। এই সিরিজ পরবর্তী সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোন না কোন সময় থেকে তো এসব দেশে জয় পেতেই হবে। তো এই সিরিজ থেকেই যদি করতে পারি সেটা অনেক বড় স্টেপ হবে। আমি আশাবাদী। আমরা মাঠে যদি সব পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারি তাহলে তো খুব ভালো।’
বাংলাদেশ সুপার লিগের লড়াইয়ে চারটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। প্রতি সিরিজে ৩টি করে ওয়ানডে। নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে ‘আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ’- এ বাংলাদেশের অ্যাওয়ে সিরিজ শুরু হলো। এর আগে হোমে খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আতিথেয়তা দেবে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে। এছাড়া অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে।