কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে কঠোরভাবে প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
তারা বলেছেন, আন্দোলনকারীরা যতদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন, ততদিন ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়নি। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর করেছে, তার গায়ে হাত তুলেছে, তারা কোনো বিবেকবান মানুষ হতে পারে না। ভবিষ্যতে আন্দোলনের নামে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের সমাবেশে নেতারা এই হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে গ্রেফতারের দাবিও জানান ছাত্রলীগ নেতারা। গত রোববার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ আক্রমণ চালালে রাবার বুলেটে আহত ছাত্র আবু বকর সিদ্দিকির মৃত্যুর গুজব রটেছিল। তখন ইমরান এইচ সরকার ফেসবুকে এটি শেয়ার করেন। তাই ফেসবুকে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানোর জন্যই ইমরানকে গ্রেফতার করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
সমাবেশে উপস্থিত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকিকে দেখিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আবু বকর এখানেই আছেন। কিন্তু একটি কুচক্রীগোষ্ঠী তাকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ‘ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যায়িত করে সোহাগ দাবি করেন, তারা আক্রমণ করার পরই পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ষড়যন্ত্রও গভীর হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা। ভিসির বাসভবনে যে হামলা ও তাণ্ডব হয়েছে, তা ২৫ মার্চের কালরাতকে হার মানিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, আবু বকরের মৃত্যুর গুজবে কান দিয়ে আমাদের বোনেরা গভীর রাতে হলের গেট ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। গতকালও একটি প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে যে ছাত্রলীগের হামলায় হলের ফ্লোর রক্তে ভেসে গেছে। এমন প্রমাণ যদি কেউ দিতে পারে, তাহলে ছাত্রলীগের পদ থেকে আমি পদত্যাগ করব।