নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে রানার অটোমোবাইলসের হেড অফ সার্ভিস এস এম মাহমুদুর রহমানসহ আরও দুই দক্ষকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এ তিন কর্মী হারিয়ে রানার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত তিন কর্মী হলেন- রানার অটোমোবাইলসের হেড অফ সার্ভিস ও সিনিয়র ম্যানেজার (কাস্টমার কেয়ার) এস এম মাহমুদুর রহমান, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান ও জুনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ফোরম্যান নুরুজ্জামান বাবু। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ফরিদপুর, ফেনী ও পাবনা।
১৭ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটেই দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে রানারের ওই তিন কর্মী প্রাণ হারান। তাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে স্বজনসহ রানারের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই নেপাল পৌঁছেছেন।
এ প্রসঙ্গে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত এবং আমাদের তিন সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তারা রানার অটোমোবাইলসের অত্যন্ত দক্ষকর্মী ছিলেন। বিশেষ করে বিক্রয়োত্তর সেবার ক্ষেত্রে তারা রানার গ্রুপের সম্পদে পরিণত হয়েছিলেন। একজনতো রানারের শুরু থেকেই ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। এই ক্ষতি অপূরণীয়। আমাদের কোম্পানির তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর নেপালের বাজারে নতুনভাবে মোটরসাইকেল রফতানি শুরু করে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড। নেপালের সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রমন মোটর্স পুরো নেপাল জুড়ে রানারের মোটরাইকেল বিক্রি করছে।
রমন মোটর্সের সিইও রমন মেহতা বলেন, ‘আমরা এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় শোকাহত। নিহতরা আমাদের প্রশিক্ষণের জন্য কাঠমান্ডু এসেছিলেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে রমন মোটর্স।’