বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশাসনকে সুশৃঙ্খল করতে অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্য সরকারি আমলাদের বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথম সরিয়ে দেয়া হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুল ইসলামকে। পরিচালক পদে চার মাসও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। এ পদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীকে বসানো হয়েছে।
কোনো সরকারি আমলাকে বিমানের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর ঘটনা এটাই প্রথম বলে জানা গেছে। যুগ্ম-সচিব জয়নুল বারী এর আগে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। একজন দায়িত্বশীল আমলা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি হয়েছে। সেটি বিমান মন্ত্রণালয়ে পৌঁছলেও এখনও আদেশটি আমরা পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, বিমান সরকারের একটি লিমিটেড কোম্পানি। সরকার এটির মালিক। মালিক যেভাবে চাইবে সেভাবেই চলবে বিমান।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিমানের আরও কয়েকটি পরিচালকের পদ থেকে বিতর্কিত ও অযোগ্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপক রদবদল হবে। ইতোপূর্বে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে ভিভিআইপি ফ্লাইটে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বিমানের এমন ১৬ জনকে স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল স্থানে না রাখতে বলা হয়েছে। বিমান প্রশাসন সেটি আমলে না নিয়ে গ্রাহক সেবার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে বিতর্কিত একজনকে সরানোর গোয়েন্দা নির্দেশনার পরও তাকে ৬ মাস বহাল তবিয়তে রেখেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বিমানের জিএম পদেও একযোগে ১০ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। তারা হলেন, জনসংযোগে শাকিল মেরাজ, মার্কেটিংয়ে সৈয়দ আহসান কাজী, কোয়ালিটি অ্যান্ড সেফটি বিভাগে মো. আবদুল ওয়াদুদ, সেন্ট্রাল কন্ট্রোলের নজরুল ইসলাম, কাস্টমার সার্ভিসে নুরুল ইসলাম হাওলাদার, গণপূর্তের আব্দুল আজিজ, বিএটিসির পার্থ কুমার পাণ্ডে, পরিকল্পনা বিভাগের আবদুর রহমান ফারুকি, নিউইয়র্কের আশরাফুল ইসলাম, বাজেট শাখার মিজানুর রশিদ।