বিমান দুর্ঘটনায় নিহত নাজিয়ার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকার নাজিয়া আফরিনের বদল হওয়া মরদেহ শরীয়তপুরের ডামুড্যা থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল হক এ নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় , গত ১৯ মার্চ আর্মি স্টেডিয়াম থেকে মরদেহ গ্রহণের সময় ভুলবশত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের মরদেহের পরিবর্তে একই ঘটনায় নিহত ঢাকার নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফয়সালের বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করা হয়। আর ফয়সালের মরদেহ নাজিয়ার মরদেহ ভেবে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে। বিষয়টি ২০ মার্চ জানাজা শেষে ফয়সালের মরদেহ দাফনের সময় তার স্বজনরা নিশ্চিত হলেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কায় নাজিয়া আফরিনের মরদেহই দাফন করে তারা। একইভাবে ঢাকার সূত্রাপুরের টিপু সুলতান রোডের মৃত আলী আকবর চৌধুরীর মেয়ে নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ মনে করে সাংবাদিক ফয়সালের মরদেহ দাফন করে নাজিয়ার স্বজনরা।

বিষয়টি উভয় পরিবার জানার পর মরদেহ উত্তোলন করে যার যার নির্ধারিত স্থানে নতুন করে দাফনের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে ঢাকার আদালতে আবেদন করে ফয়সালের পরিবার। অন্যদিকে শরীয়তপুর আদালতে আবেদন করে নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর পরিবার।

বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল হক নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ শরীয়তপুরের ডামুড্যা থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অনুলিপি প্রদান করেন।

বর্তমানে নাজিয়ার পরিবারের লোকজন তার মরদেহ গ্রহণের জন্য শরীয়তপুরে অবস্থান করছেন। অন্য দিকে সাংবাদিক ফয়সালের পরিবার তার মরদেহ গ্রহণের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।

নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর ভাই আলী আহাদ চৌধুরী বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা আমাদের হাতে মরদেহ তুলে দেবেন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনের জন্য আদালতের একটি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উভয় পরিবারের স্বজনরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মরদেহ উত্তোলনের ব্যাবস্থা করা হবে।