বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পর তদন্তে রহস্যজনক

নবীগঞ্জে সরকারী সম্পত্তি আত্মসাতকারী বহাল তবিয়তে

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মিজানুর রহমান সোহেল

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকার বাহাদুরের সম্পত্তি জবর দখল করে বিল্ডিং ও ইটভাটা দেয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ মহলে অভিযোগ দেয়ার পর তার প্রাপ্তি স্বীকার হলে ও কোন প্রদক্ষেপ ও প্রতিকার হচ্ছে না। বরং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারের সম্পত্তিতে দেদারছে বিল্ডিং ও বিভিন্ন কাজ কর্ম করে যাচ্ছে।এনিয়ে অভিযোগকারী চরম হতাশায় রয়েছেন। অন্যদিকে কোন প্রতিকার না হওয়ায় সরকারের উর্ধ্বতনের আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন রয়েছেন। জানা গেছে গেছে-নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আউশকান্দি গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার পুত্র মোঃ আব্দুল মতলিব মিয়া ও তার লোকদের স্বত্ব ভুমি আউশকান্দি মৌজার অধীনের ১ নং খতিয়ানের ৭৭১ দাগের ভুমিতে বাড়ি ঘর নির্মান করে আসছেন মোঃ আব্দুল মতলিব গংদের লোকজন।বহুদিন যাবত একই উপজেলার বেতাপুর গ্রামের মৃত হাজি মনির উদ্দিনের পুত্র লন্ডন প্রবাসি বুলবুল আমীন ও তার ভাই বিএনপি নেতা সুহুল আমীন মিলে আব্দুল মতলিব মিয়া গংদের স্বত্ব ভুমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগে আছে।এমনকি প্রভাবশালীরা আব্দুল মতলিব মিয়ার রোপনকৃত ফসলি জমির ধান কেটে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে।

অপরদিকে ভুমিকেখো জামায়াত নেতা বুলবুল আমীন ও তার ভাই বিএনপি নেতা সুহুল আমীন দীর্ঘ দিন যাবত উলুকান্দি মৌজা জেএল নং ১২৫এর অধীনে থাকা সরকার বাহাদুরের ১ নং খতিয়ানের খাস ভুমি দাগ নং ১,২,৩,ও ৪দাগের প্রায় ৫ একর ভুমি দীর্ঘ দিন যাবত জবর দখল করে আত্বসাত করে তাতে ব্রিক ফিল্ড,ও বিল্ডিং নির্মান করে সরকার ব্হাাদুরের রাজস্ব নষ্ট করে আসছে।কিন্তু প্রকৃত ভিটে বাড়িহীন ভুমিহীন লোকেরা ঐ ভুমি পাবার কথা। কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেহ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কথা বলার সাহস রাখেনি।এবং বুলবুল আমীন ও সুহুল আমীন তাদের সাথে আরো ভাড়াটিয়া কুখ্যাত সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক কুর্শি গ্রামের মৃত তরিক উল্লার পুত্র দিলকাছ মিয়া, রায় পুর গ্রামের মৃত ধন মিয়ার পুত্র ফুরুক মিয়া,সমসু মিয়া,রহমান মিয়ার পুত্র তোতা মিয়া, ও সমসু মিয়ার পুত্র রাজন মিয়া সহ আরো পনের বিশ জন ভাড়াটিয়াদের নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করছে কিভাবে আব্দুল মতলিব মিয়া গংদের স্বত্ব ভুমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারে।বিগত দিনে জামায়াত নেতা বুলবুল আমীন ও বিএনপি নেতা সুহুল আমীনের হুকুমে ফুরুক মিয়া নামের লোক ঐ ভুমি নিয়ে আব্দুল মতলিব মিয়া গংদের সাথে হামলার ঘটনায় মামলায় তার দু,বছরের সাজা হয়।

আরো জানা গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিগত ৬ ই মার্চ২০০৭ইংরেজি সনে আব্দুল মবলিব ও জুতি মিয়া নামের লোকজন মিলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাহারা প্রভাবশালী হওয়ায় ঐ অভিযোগ অবশেষে কিছুই হয়নি। ইদানিং ভুমিকেখো লন্ডন প্রবাসী বুলবুল আমীন ও তার ভাই বিএনপি নেতা সুহুল আমীন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে সরকার বাহাদুরের ভুমি সংলগ্ন মালিকানা ভুমি আব্দুল মতলিব মিয়া গংদের ভুমি কিভাবে তাদের কবলে নিতে পারে। তাই তারা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আব্দুল মতলিব মিয়া গংদের অহরহ হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন ভাবে রাহাজানি করে আসছে কিভাবে আব্দুল মতলিব মিয়া লোকদের ভিটেবাড়ি ছাড়া করতে পারে।ঐ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকদের সাথে অভিযুক্তকারীরা প্রচার করে বেড়াচ্ছে যতই সরকারের উর্ধ্বতনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ দেয়া হউক না কেন,টাকা থাকলে সব দপ্তরই ম্যানেজ করা সম্ভব। সচেতন মহল মনে করেন একজন প্রভাবশালী ধনী লোক কিভাবে সরকার বাহাদুরের ভুমি দখল করে আত্মসাত করতে পারে।এবং কিভাবে বন্দোবস্ত আনতে পারবে।প্রভাবশালী কবলে রাহাজানির স্বীকার আব্দুল মতলিব মিয়া জানান,তিনি দীর্ঘ দিন যাবত ঐ ভুমি কেখোদের নির্যাতন সহ্য করে আসছেন।এবং ইদানিং তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রাহাজানি সহ যে কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে ।

তাই তিনি তার এই করুন কাহিনী নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,সচিব জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়,মাননীয় ভুমিমন্ত্রী,চেয়ারম্যান,মহাপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)র‌্যাব৯,জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উপ-পরিচালক জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ,পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীগঞ্জ,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানা, ,সহকারি কমিশনার (ভুমি)নবীগঞ্জ,ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা গোপলার বাজার নবীগঞ্জ,চেয়ারম্যান আউশকান্দি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।এরই প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচা দুনীীত দমন কমিশন থেকে অভিযোগকারী আব্দুল মতলিবকে অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার ডাকযোগে গত ২২ শে জুন প্রেরণ করা হয়।কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পর কোন প্রদক্ষেপ না হওয়ায় একদিকে চরম হতাশায় অভিযোগকারী আব্দুল মতলিব মিয়ার ও তার লোকজন। অপরদিকে এলাকার সচেতন মহল করেন সরকারের উর্ধ্বতনের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর ও যদি এতো গাফিলতি হয় তাহা হলে এদেশের জনগন বিচার পাবে কোথায় ?