বিভাগ প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর বরিশালে হচ্ছে শ্রম আদালত

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

শামীম আহমেদ ॥ বিভাগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার ২৯ বছর পর শ্রম আদালতের সুবিধা পাবে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের বাসিন্দারা। শ্রম আইনে দায়ের হওয়া মামলা নিস্পত্তিতে বরিশালে স্থাপিত হচ্ছে শ্রম আদালত।
ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় বরিশাল শ্রম আদালতের জন্য চেয়ারম্যান পদমর্যাদায় একজন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার ২৯ বছর পর শ্রম আদালতের সুবিধা পাবে বৃহত্তর বরিশালের জনগোষ্ঠী।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর বরিশালের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিমন কুমার সাহা বরিশালে শ্রম আদালত স্থাপনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে তার দফতরে প্রেরিত একটি চিঠির মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন বরিশাল শ্রম আদালতের জন্য চেয়ারম্যান পদমর্যাদায় একজন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অন্য জনবল এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি। আদালত স্থাপনের স্থানও নির্ধারণ করা হয়নি। ডিআইজি হিমন কুমার সাহা আরও জানান, আদালতের পুরো বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় দেখভাল করে। জনবল নিয়োগসহ অন্য কার্যক্রম শেষ করে কবে এ আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে তা পুরোটাই আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। তবে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালতের কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েকমাস সময় লাগতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সূত্রমতে, বরিশাল শ্রম আদালতের জন্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান হলেন জেলা ও দায়রা জজ পদধারী বেগম শাহনাজ সুলতানা। তিনি বাগেরহাট জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ছিলেন। তাকে বরিশাল শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রাণালয়। অবশ্য তিনি এখনও বরিশালে আসেননি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ডিআইজি হিমন কুমার সাহা জানান, বর্তমানে তার দফতর থেকে দায়ের হওয়া ৫০টি মামলা খুলনা শ্রম আদালতে বিচারধীন রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চলমান মামলাগুলোর নিস্পত্তি খুলনা শ্রম আদালতেই হবে। বরিশালে আদালত কার্যক্রম শুরুর পর নতুন মামলার নিস্পত্তি হবে এখানকার আদালতে।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলা নিয়ে বরিশাল বিভাগ গঠিত হয়। কয়েক বছর আগেও বরিশালের শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিক ও ব্যবসায়ীদের শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সব কাজের জন্য খুলনায় যেতে হতো। সস্প্রতি বরিশালে স্থাপিত হয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের কার্যালয়। এখানে শ্রম আদালত না থাকায় ১০০ টাকা সমমানের জরিমানার একটি মামলা নিম্পত্তি করতে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় করে কয়েকবার খুলনায় আসা-যাওয়ার খরচ গুণতে হয়। পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্রবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর পর এ অঞ্চলে শিল্প কলকারখানা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে এখানে শ্রম আদালত স্থাপন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো উল্লেখ করেছেন।