বিপৎসীমার ওপরে বরিশালের ১০ নদীর পানি

:
: ২ years ago

বরিশালে পূর্ণিমার জোয়ারে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ নদীর পানির উচ্চতা কমেনি। এ কারণে নিম্নাঞ্চল ও বরিশাল নগরের কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে আটকে রয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কিছু পরিবার।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, পূর্ণিমার প্রভাবে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বর্ষা মৌসুমে এই চিত্র বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, বিভাগের মোট ২৩ নদীর মধ্যে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০ নদীর পানির প্রবাহ এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরেই নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত ১০টি নদীর পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর মধ্যে বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলার খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ বিদ্যমান থাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী দুই-এক দিন এই অবস্থা থাকবে। তারপরই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।