বিপিএল ২০২৪ গড় রান বেড়েছে, তবে বড় রান নেই

:
: ৪ মাস আগে

ওয়েইন পারনেল বিপিএলে ফিরেছেন পাঁচ বছর পর। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ২০১৯ সালে খেলেছিলেন ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই ক্রিকেট আসরে। এবার তাকে উড়িয়ে এনেছিল খুলনা টাইগার্স।

 

শেষ কয়েক ম্যাচে খেললেও দলে প্রভাব রাখার মতো কোনো পারফরম্যান্স নেই প্রোটিয়া পেসারের। তাতে তার দলও সেরা চারে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। লম্বা সময় পর পার্নেলের বিপিএল ফিরে একটাই উপলব্ধি, ‘আগে বিপিএলে রান হতো না। লো স্কোরিং ম্যাচ হতো। এখন রান হচ্ছে।’

লম্বা সময় পর পারনেলের চোখে রান হওয়া বিপিএলের উন্নতির ছাপ। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত গত আসরের তুলনায় সেই উন্নতি কিছুটা হয়েছে। বিপিএলে প্রথম ইনিংসে দলীয় সংগ্রহে গড় রান আগেরবারের তুলনায় বেড়েছে। তবে বড় রান আসেনি প্রত্যাশামাফিক।

 

ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে যথারীতি সাত দলের এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ফাইনালসহ ম্যাচ হবে ৪৬টি। প্রথম পর্বের ৪২টি ম্যাচ শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার। সামনে রয়েছে দুটি কোয়ালিফায়ার, একটি এলিমিনেটর ও সবশেষে ফাইনাল।

গত ১৯ জানুয়ারি মিরপুরে বিপিএল শুরু হয়েছিল ১৪৩ রান দিয়ে। দিনের ম্যাচে রান কম হলেও রানের ম্যাচে ১৭৭ রান এসেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে রান বেড়েছে। তবে রান আটকে ছিল ১৬০ এর আশেপাশেই। প্রথম দলীয় রান দুইশ ছড়ায় ২৭তম ম্যাচে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান ২৩৯। যা যৌথভাবে বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি।

 

দশম আসরে প্রথম ইনিংসে দলীয় সংগ্রহের গড় আগের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর বিপিএলের প্রথম ইনিংসে গড় রান ছিল ১৫৭। এবার সেটা ১৬০-এ দাঁড়িয়েছে। দুই বছর আগেও প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৫৭ ছিল। গড় রানের উন্নতি হলেও বড় রান এবার তেমন হয়নি।

গত আসরে দুইশর বেশি রান প্রথম ইনিংসে হয়েছিল ৪টি। এবার কেবল ২টি। সেটাও একদিনে চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে। এছাড়া ১৯০ থেকে ২০০ রান হয়েছে এক ইনিংসে। ১৮০ থেকে ২০০ রানের মধ্যে ইনিংস ছিল নয়টি। তাতে গড় রানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সঙ্গে একশ নিচে মাত্র একটি দলীয় সংগ্রহ থাকায় এবার উন্নতির ছাপ তো ছিলই।

বিপিএল মানেই বিতর্কে ঘেরা এক টুর্নামেন্ট! শেষ কয়েক বছরে মাঠের ক্রিকেটে এমনটাই দেখা হয়েছে। কিন্তু এবারের আসরে ছোট বড় কোনো বিতর্কই হয়নি। ৪২ ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শাস্তিমূলক কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এজন্য এবারের বিপিএলকে টেকনিক্যালি এবং খেলার দিক থেকে সেরা বলছেন বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান রকিবুল হাসান।

 

রকিবুল বলেন, ‘এবারের বিপিএল দারুণ যাচ্ছে। মাঠের ক্রিকেটেও দারুণ, মাঠের বাইরেও দারুণ। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে সুপার। আমরা তো চেয়েছিলাম এমন কিছু।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোনো বিতর্ক নেই এর মানেই তো হচ্ছে বিপিএল ভালো যাচ্ছে। আমরা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলোর ম্যানেজার, অধিনায়কদের সঙ্গে বসে সব আলোচনা করেছি। সব কথা বলেছি যেন মাঠে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। এবার দেখেন আম্পায়ারিংও দারুণ হচ্ছে। কোনো ঝামেলা নেই। প্রোডাকশনও ভেরি ফাইন। আমি বলবো এটাই বিপিএলের স্বার্থকতা।’

 

শেষ ম্যাচে আরো প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট হোক এমনটাই চাওয়া রকিবুলের, ‘শেষ চারটি ম্যাচ বাকি। শিরোপার ফয়সালা হবে। আমি তো চাই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছড়াক। কেউ কাউকে ছাড় না দিক। মাঠের ক্রিকেটে উত্তেজনা ছড়াক। তাহলেই না দর্শক যারা আসবে মাঠে, তারা বলবে পয়সা উসুল টুর্নামেন্ট।’