জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। পুরো নামের তিনটি শব্দের মতো ক্যারিয়ারও প্রতিফলিত হচ্ছে তিন জায়গায়।

অর্থাৎ বড় পর্দা, ছোট পর্দা এবং র্যাম্প— এই তিন প্ল্যাটফর্মেই আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই লাস্যময়ী। আর এর সঙ্গে বাড়তি বোনাস হিসেবে আইন পেশার চাদরও গায়ে জড়িয়েছেন। এবার হয়তো তাকে দেখা যাবে ক্রীড়া জগতেও। সবকিছু ঠিক থাকলে বিপিএলের চলতি আসরে দেখা যাবে পিয়াকে। গ্যালারি এবং মাঠে থাকবে তার সরব উপস্থিতি। অর্থাৎ দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে তার। জানা গেছে, শুধু পিয়া নন, তার সঙ্গে আরও থাকবেন সামিয়া আফরিন ও মারিয়া নূর। তবে তারা মূলত স্টুডিওতে থাকবেন। আর তাদের সঙ্গে দর্শক ও মাঠের উচ্ছ্বাস সংযুক্ত করবেন পিয়া।

এদিকে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি ক্রীড়া আয়োজনে যুক্ত হতে যাচ্ছেন পিয়া। মডেল হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজের খ্যাতি ছড়িয়েছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেকে অন্যতম আইকন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু বিপিএলের মতো ক্রীড়া আসরে তার উপস্থিতি কতটা সরব ও গ্রহণযোগ্য হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অন্যদিকে, ৩-৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজন করা হয়েছে খাদি উৎসব ‘দ্য ফিউচার ফ্যাব্রিক শো’। ট্রেসেমির পক্ষ থেকে এ উৎসবেও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে থাকছেন পিয়া।

২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হন তিনি। মূলত এরই মাধ্যমে মিডিয়ায় বিচরণ শুরু তার। ১৯ দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ২০১৩ সালে ‘মিস ইন্ডিয়ান প্রিন্সেস ইন্টারন্যাশনাল’ নির্বাচিত হন খুলনার এই মেয়ে।

রেদওয়ান রনির হাত ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পিয়ার। ‘চোরাবালি’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’, ‘গ্যাংস্টার রির্টান’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। প্রথম বাংলাদেশি মডেল হিসেবে জনপ্রিয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল সাময়িকী ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদেও দেখা গেছে পিয়াকে। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন আইনজীবী হওয়ার। এরই মধ্যে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস (এলসিএলএস) থেকে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন পিয়া। বর্তমানে মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি আইন পেশায়ও তিনি ব্যস্ত  সময় পার করছেন।