বিপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত মিরাজের, ফিরছেন ঢাকায়

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

‘আমাকে অধিনায়কত্ব থেকে কেন সরাল কিছুই বুঝলাম না। দল আমার আন্ডারে রেজাল্ট পেল। আমি নিজেও পারফর্ম করেছি। বাকিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে আছে। দল খুশি। কোচিং ম্যানেজমেন্ট খুশি। তাহলে কেন কিছু না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।’

‘দুদিন পর তো পারফর্ম করলেও আমাকে দলে রাখা হবে না। এটা তো স্রেফ অপমান। আমি এখনো জাতীয় দলের ক্রিকেটার। দলের মালিক হয়েছে বলেই যা ইচ্ছে তা করতে পারে না। এখানে আমাদের নিজেদেরও চ্যালেঞ্জ থাকে। আমাকে সবার থেকে সেরা হতে হবে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে আবার ব্যাক করতে হবে। সেভাবেই আমার মানসিকতা ঠিক থাকতে হবে। কিন্তু এমন পরিবেশে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন।’

মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। দলের অপেশাদার আচরণে ক্ষুদ্ধ মিরাজ বিপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিসিবিকে। আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছেন এই ক্রিকেটার।

গতকাল সিলেট সানরাইজার্সের ম্যাচে মিরাজের জায়গায় নাঈম ইসলামকে টস করতে দেখে খটকা লাগে। ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে বলা হয়, পল নিক্সনের পর্যবেক্ষণে মিরাজকে সরিয়ে নাঈমকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। মিরাজকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়, দল মাঠে নামার ঘণ্টাখানেক আগে।

দল নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি মিরাজ। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম জানালেন, মিরাজকে নিয়ে তারা নেতিবাচক কথা ছড়াতে চান না। তার ভাষ্য, ‘এটা আমরা এখন না বলি, কারণ এটা কোন সমস্যা না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাব। মিরাজ টপ ক্রিকেটার বাংলাদেশের। আমরা চাইনা তার ব্যাপারে নেগেটিভ কিছু না ছড়াতে। আমি যদি ওটা বলি তাহলে নেগেটিভ হয়ে যাবে।’

তবে মিরাজ গণমাধ্যমে নেগেটিভ কিছু বলে থাকে তাহলে চট্টগ্রাম পুরো বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডকে অবহিত করবে। ইয়াসির আলম বলেছেন, ‘মিরাজের বিবৃতি আমরা দেখতে চাই৷ সে কি বিবৃতি দিচ্ছে মিডিয়াতে আমরা দেখব আগে। আমরা তার ব্যাপারে পজিটিভ। কিন্তু সে নেগেটিভ হলে আমরা বিসিবির সাথে কথা বলব, আমরা দেখব তার ব্যাপারে।’

মায়ের অসুস্থতার কথা মিরাজ দলের ম্যানেজারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। বিসিবির কাছে মিরাজ যে ই-মেইল দিয়েছেন তাতেও মায়ের অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে। চট্টগ্রামে স্ত্রী-সন্তানসহ ছিলেন মিরাজ। ফ্র্যাঞ্চাইজি তার মা-কে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে চিকিৎসার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেসব কানেই নেননি মিরাজ।

বিপিএল শুরুর আগে মিরাজকে অধিনায়ক করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তার নেতৃত্বে ঢাকা পর্বে তিনটি ও চট্টগ্রামে একটি ম্যাচ খেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জয়-পরাজয়ের সমীকরণ সমান সমান। নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে পারফর্মও করছিলেন মিরাজ। বল হাতে ৮ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৭০ রান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।