আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল- তা যাচাইয়ের আদর্শ উপকরণ ‘ডিআরএস’ নেই এবার। তা নিয়ে রাজ্যের কথাবার্তা। বিপিএলের পর্দা ওঠার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও ডিআরএস নিয়ে উঠলো প্রশ্ন। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন পুরোনো ব্যাখ্যা নতুনভাবে উপস্থাপন করলেন।
আসলে করোনার কারণে সময়মতো যোগাযোগ করতে না পারাই ‘হক আই’ না পাওয়ার মূল কারণ। তবে বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগে ডিআরএস ছাপিয়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হলো উইকেট নিয়ে। যতো সময় গড়াচ্ছে এবং শেরে বাংলার পিচে বল গড়ানোর আগপর্যন্ত উইকেট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা এবং গুঞ্জন থাকবেই।
টিপিক্যাল স্লো-লো পিচেই হবে এবারের বিপিএল? বিপিএল আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব থেকে শুরু করে বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সময় উইকেট নিয়ে সাকিব-রিয়াদ যখন কথা বলেন, তখনও হোম অব ক্রিকেটের পিচ দেখা হয়নি তাদের।
তাই দুজন প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন। সাকিব জানান, ‘আমি যদিও এখনও দেখতে পারিনি। তবে আমি বিশ্বাস করি স্পোটিং উইকেট হবে। যেখানে সবার জন্যই কিছু না কিছু থাকবে। আশা করি ভালো একটা ম্যাচ দিয়ে বিপিএল শুরু হবে।’
অন্য দিকে রিয়াদ মনে করেন, ‘সত্যি বলতে উইকেট এখনও দেখিনি। যেহেতু রাতে আমাদের ম্যাচ, প্রথম ম্যাচটা দেখবো। দেখি কেমন উইকেট বা রান হয়। ঐ অনুযায়ী টিম কম্বিনেশন সাজানোর চেষ্টা করবো।’
রিয়াদ ও সাকিব সৌজন্যতাবোধ থেকেই উইকেট সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। শুধু আশার কথা বলেছেন। কিন্তু আসলে শেরে বাংলার পিচের অবস্থা কী? বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চললো উইকেটের পরিচর্যা। প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা সশরীরে প্রায় এক বেলা কাজ করলেন সহযোগীদের নিয়ে।
এখন বাস্তবে উইকেটের চরিত্র কেমন হবে? বল আগের চেয়ে তুলনামূলক দ্রুত ব্যাটে আসবে কি না? বাউন্স মোটামুটি স্থিতিশীল থাকবে কি না? এসব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও শোনালেন আশার বাণী।
তার কথা, ‘আগের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা আছে। আমরা এরই মধ্যে গ্রাউন্ডস কমিটির সঙ্গে একাধিকবার বসে কথা বলেছি। উইকেট যতটা সম্ভব ভালো করার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আশা করি স্পোর্টিং পিচের দেখা মিলবে এবার।’
মল্লিকের দাবি, ‘একটা ভেন্যুতে বেশি ম্যাচ খেলা হয়। হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ আয়োজন যেহেতু প্রযুক্তি, অবকাঠামোর স্বল্পতায় সম্ভব না, তাই উইকেটের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং কদিন পরই উইকেটের আচরণ খারাপ হতে থাকে। হোম এন্ড অ্যাওয়েতে খেলা চললে হয়তো উইকেটের আচরণ আরও ভালো হতো।’
তারপরও কথা থেকে যায়, এমন নয়, এই পিচে কয়েকদিন আগেই খেলা হয়েছে। শেরে বাংলার পিচ তো বেশ কিছু দিন বিশ্রাম পেয়েছে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচ। দেখা যাক ‘ফ্রেশ’ উইকেটে কেমন রান ওঠে?