শেষ হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরের প্লেয়ারস ড্রাফট। নিজেদের পছন্দমত ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে দল সাজিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বেশ জমজমাট এক টুর্নামেন্টের আশাই করছেন সকলে।
শেষ হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরের প্লেয়ারস ড্রাফট। নিজেদের পছন্দমত ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে দল সাজিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বেশ জমজমাট এক টুর্নামেন্টের আশাই করছেন সকলে।
বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে লড়বে ৭টি দল। আগামী ৩ মৌসুমের জন্য দলের সত্ত্ব কিনে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্লেয়ারস ড্রাফট থেকে নিজেদের পছন্দমত ক্রিকেটারদেরকে বেছে নিতে পেরেছে দলগুলো। ড্রাফটের আগে সরাসরি চুক্তিতে একজন করে দেশি ক্রিকেটারকে দলে টেনেছিল দলগুলো। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে সবগুলো দল।
এবারের ড্রাফটে সবচেয়ে বেশি খরুচে দল গড়েছে ফরচুন বরিশাল। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বরিশাল। এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে বরিশালের খরচ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে ড্রাফটে বরিশালের খরচ তাই ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, যা ৭ দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতবারের রানার্সআপ বরিশাল এবার আটঘাট বেঁধেই নামছে শিরোপার জন্য।
তারপর খরচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা ডমিনেটর্স। বেশ আলোচিত এই দল অনেক টাকা খরচ করেছে এবারের ড্রাফটে। দেশি ক্রিকেটারদের পিছনে ঢাকার খরচ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বিদেশি ক্রিকেটারের পেছনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছে তারা, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে এবারের ড্রাফটে ঢাকার খরচ ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
এরপর খরচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছে বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে কুমিল্লা ঢেলেছে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। শুধু দেশি ক্রিকেটার হিসাব করলে অবশ্য এটিই সর্বোচ্চ এবারের ড্রাফটে। বিদেশি অনেক নামিদামি ক্রিকেটারকে আগেই দলে টেনেছিল কুমিল্লা। ড্রাফট থেকেও নিয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সেখানে তাদের খরচ হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে এবারের ড্রাফটে কুমিল্লার সর্বমোট খরচ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকায়।
খরুচে দলের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে খুলনা টাইগার্স। সর্বমোট ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে তামিম ইকবালের দল। দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে খুলনার খরচ ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বিদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে খুলনা খরচ করেছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি টাকার সমান।
এরপরের অবস্থানেই আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কখনও বিপিএলের শিরোপার স্বাদ না পাওয়া সিলেট এবারের ড্রাফটে মোট ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে সিলেটের খরচ ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বিদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে তারা খরচ করেছে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৬০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে তাই ড্রাফটে সিলেটের খরচ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
এরপরের অবস্থানে আছে রংপুর রাইডার্স। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দল এবারের ড্রাফটে বেশ সক্রিয়ই ছিল। দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে তাদের খরচ হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের পেছনে তারা খরচ করেছে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৬০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে এবারের ড্রাফটে রংপুরের খরচ ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।
এবারের ড্রাফট থেকে সবচেয়ে কম খরুচে দল গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে বিদেশিদের পেছনে দলটির খরচ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫০ লক্ষ টাকার সমান। সব মিলিয়ে এবারের ড্রাফটে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে চট্টগ্রাম।
আগামী বছরের (২০২৩ সাল) ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বিপিএলের পরবর্তী আসর।