পাইলট আবিদ সুলতান- নেপালের কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির প্রধান পাইলট আবিদ সুলতান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) নেপালের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানা যায়।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান। ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা ছাড়াও এতে ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও খাজা হোসেন।
সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানটিতে চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহীর মধ্যে এপর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। তার এক বন্ধু জানান, বিমানবাহিনীতে আবিদের মিগ-২৯ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সময়কালে আবিদই ছিলেন সবচেয়ে ব্রাইট অফিসার।
নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ড্যাস ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট বিমানটি ক্যাপ্টেন আবিদই কানাডা থেকে বাংলাদেশে এনেছিলেন।
হতভাগা ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন আবিদকে জোর করে ডিউটিতে পাঠানো হয়। তিনি ছিলেন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। রবিবার রাতে তিনি ইউএস বাংলার চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
ইথোওপিয়া নামের একটি বিদেশী এয়ারলাইন্সে তার চাকরি হয়েছিল গত মাসে। ওই চাকরিতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকেই তার সঙ্গে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন দেখা দেয়।
এমনকি তিনি সোমবার নেপালের ফ্লাইট অপারেট করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পরও তাকে বাধ্য করা হয়। আইকাও নিয়ম অনুসারে- কোন পাইলটকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফ্লাই করতে বাধ্য করা যায় না।
এটা রীতিমতো সেফটির সঙ্গে আপোস করা। দুনিয়াব্যাপী এই নিয়ম খুব কঠোরভাবে মানা হয় কিন্তু ইউএস বাংলা কেন তাকে এমন করল তাও তদন্তের দাবি রাখে।
এ বিষয়ে অপর এক পাইলট জানান, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে নেপাল যেতে বাধ্য করায় তিনি স্বভাবতই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মানসিক চাপ বা অশান্তি নিয়ে পাইলট যখন উড্ডয়ন ও অবতরণ করেন তখন একটা ঝুঁকি থাকে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com