বিদ্রোহের পরিণতি হবে খারাপ: কাদের

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

পৌরসভা নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং তাদের মদদ দেওয়া নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর পরিণতি খারাপ হবে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন।

 

বারবার সতর্ক করার পরও পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মনোনীত প্রার্থীর বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে অনেকে। স্থানীয় পর্যায়ের টানাপোড়নের রাজনীতির কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীকে মদদ ও সহায়তা দিচ্ছেন দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও।
বিষয়টি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে যারা বিদ্রোহ করছেন, আজকে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে আলাদাভাবে দাঁড়িয়েছেন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যারা বারবার বলার পরও বিদ্রোহী অবস্থান নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই, এবার কিন্তু কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

‘এই বিদ্রোহের জন্য খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই বিদ্রোহীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে নেতা বা জনপ্রতিনিধি জড়িত থাকবে তারাও নজরদারিতে আছে। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের যেকোনো পর্যায়ে কমিটিতে থাকলে অন্য কমিটিতে থাকার সুযোগ নেই বলেও জানান।
‘একজন অন্য কোনো সাব কমিটি বা অন্য কোনো কমিটিতে থাকতে পারবেন না। প্রমাণ পেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বাদ দেওয়া হবে।’

 

পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তিকে অপপ্রচার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে। তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। কিন্তু কয়েকটি নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে ইভিএম আধুনিক একটা ব‌্যবস্থা।’

‘প্রযুক্তির এই ব্যবস্থায় কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। তারা অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। ইভিএম নিয়ে জনগণের কোনো সংকোচ নেই। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগও আসেনি। মিথ্যা আর অপপ্রচার ছাড়া তাদের আর কোনো সক্ষমতা নেই।’
আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ৫ম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক ও সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজসহ উপকমিটির অন্যান্য সদস‌্য।