ভূতুড়ে বিলের বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাননি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে মার্চ থেকে। বন্ধ থাকা অফিসে ভূতুড়ে বিল এসেছে। আমার বাসায়ও এসেছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল।
রোববার (৫ জুন) ভূতুড়ে বিদ্যুৎবিল প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার পর্যন্ত চার লাখের বেশি গ্রাহকের বাড়তি বিলের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাড়তি বিল সমন্বয় করতে যারা ব্যর্থ হয়েছেন এবং বাড়তি বিলের জন্য যারা দায়ী, তাদের শনাক্ত করতে বিদ্যুৎ বিভাগ একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিল।সেই কমিটির প্রতিবেদনে তিনশ’ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ডিপিডিসির বেশ কিছু কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত বিলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত টাস্কফোর্স প্রায় তিনশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।
সারাদেশ থেকেই গ্রাহকরা ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল পাওয়ার অভিযোগ জানাচ্ছেন। সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের বাসায় এসেছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎবিল, এমনকি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ভূতুড়ে বিল পেয়ে চমকে ওঠেছেন।সারাদেশে কত সংখ্যক গ্রাহক ভূতুড়ে বিলের খপ্পরে পড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুধু প্রতিমন্ত্রীর বাসা আর বন্ধ থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নয়, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মইন উদ্দিন, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের চারজন কর্মকর্তাসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাসাবাড়িতে ভুতুড়ে বিল এসেছে।
বিলের অতিরিক্ত বোঝা প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, কোনো ব্যক্তিকে বাড়তি বিল দিতে হবে না। কোনো গ্রাহক যদি মনে করেন, তার বাড়তি বিল এসেছে, অভিযোগ করলেই সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় সবারই সমাধান করা হয়েছে।