বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে প্রায় ২২ হাজার মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ কোম্পানির দায়ের করা ২১ হাজার ৮৩৮টি মামলা রয়েছে তাদের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে। এই মামলার বিপরীতে বকেয়া আছে ৫৯৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের মামলার সংখ্যা বেশি হলেও তার সঙ্গে সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ কম। অন্যদিকে ডেসকোর মামলার সংখ্যা কম হলেও সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ কম।

বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, এসএম জগলুল হায়দার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে দেখা গেছে পল্লী বিদ্যুতের নয় হাজার ৮৪৫টি মামলায় সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ৩২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৪ টাকা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চার হাজার ৪৬৬টি মামলায় সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ৫৮ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৪ টাকা, ডিপিডিসির তিন হাজার ৫৩৮টি মামলায় সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ১৮৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭ টাকা, ডেসকোর ১৪টি মামলায় সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬২ টাকা, নেসকোর তিন হাজার ৯৮৮টি মামলায় সংশ্লেষ অর্থ ৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ টাকা এবং ওজোপাডিকোর ৪৭টি মামলার সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ১১৪ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৮ টাকা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি বিদ্যুৎ কোম্পানি মোট ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৪টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। বিতরণ সংস্থাগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে তাদের সব মিটার প্রিপেইড করার টার্গেট নির্ধারণ করেছে।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে কমিটি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক ক্যাবল স্থাপনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া কমিটি গণপরিবহনে কোন জ্বালানি কী পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য উপাত্ত জানতে জরিপ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতি মরার বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী বৈঠকে রির্পোট প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।