বিদ্যুতে নতুন রেকর্ড উদযাপন আলোকোৎসবে

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

দেশে বিদ্যুৎ সক্ষমতার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দশ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়েছে চার গুণের বেশি। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত চার দশকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে গত দশ বছরে তা ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। নিজেদের এ ঐতিহাসিক সফলতাকে আলোকোৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে রাজধানীর তিনটি স্থানে একই সঙ্গে আতশবাজি ফোটানো হয়। ঢাকায় সন্ধ্যার আকাশে দেখা যায় রঙ-বেরঙের রোশনাই। নগরাবাসী মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে বর্ণিল এ আয়োজন।

মূল আয়োজন ছিল রাজধানীর হাতিরঝিলে। এছাড়া ঢাকার সদরঘাট ও বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি এলাকায় সন্ধ্যা ৭টায় আতশবাজি ফোটানো হয়।

সন্ধ্যায় হাতিরঝিল ঘুরে দেখা যায়, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের মানুষ এসেছে আতশবাজির রোশনাই উপভোগ করতে। অনেকে এসেছেন ঘুরতে। ভাদ্রের মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে সবার চোখ চলে যায় আকাশের দিকে। আকাশ আলোকিত করছে একের পর মনোমুগ্ধকর আলোর ফোয়ারা। শিশুরা রঙিন রোশনাই দেখে আনন্দ করছে। বড়রাও কম যাননি। তারাও মেতেছেন শিশুদের সঙ্গে। আলোর উৎসব চলে ৭টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।

মগবাজার থেকে আসা মঞ্জুষা বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন আতশবাজি উৎসব দেখতে।

আলোকোৎসব প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, বর্তমানে দেশে ১২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। ফলে দেশে জাতীয় গ্রিড বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৩ মেগাওয়াটে। এরসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টগুলো থেকে আরও দুই হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সব মিলে বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট। যেখানে ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯২৪ মেগাওয়াট।