বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি জনমুখী করতে,মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে।এখন থেকে পুলিশ জনগনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন নথুল্লাবাদ ফিসারী রোড এলাকায় ৩ ও ৪ নং বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্ধোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মূল ধারণা হচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারাই মানুষের কাছে তৃনমূল পর্যায়ে সেবা নিয়ে যাবেন। ওয়ার্ড এবং শহরের মহল্লাগুলোকে বিটে বিভক্ত করে একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে (এসআই) এর দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্মকর্তারাই এলাকার আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন ও প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন।এর মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক,ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতি সহ সকল প্রকার অপরাধমুলক কাজ কমে আসবে।মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।পুলিশ ও জনগনের মধ্য সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরী হবে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, সমাজে ছোট ছোট অপরাধ থেকেই বড় বড় অপরাধের সৃষ্টি হয়।বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ দূর করে অপরাধ মুক্ত একটি সুন্দর সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিট অফিসার এস আই মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী বিট অফিসার এ এস আই মোঃ নাজমুল ইসলাম, বিসিসি ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা।