বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেছন,কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংকে আমরা আরো কার্যকর করতে চাই।কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি পরিপূরক হচ্ছে বিট পুলিশিং। বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আমরা পুলিশ ও সাধারন জনগনের মধ্যে দুরত্ব কমিয়ে আনতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় কাশীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজে এয়ারপোর্ট থানার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন,সমাজে অপরাধের সুযোগ, পরিবেশ পরিস্থিতি থাকলেই অপরাধের সৃষ্টি হয়।আমরা নিজেরা সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা দূর করতে চাই।সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনতে হলে নিজেরা সচেতন হয়ে অপরকে সচেতন করে তুলতে হবে।আজকে মাদকের করালগ্রাসে নিপতিত হয়ে যুবকরা সমাজে নানা প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছে। আমরা মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুবকদের রক্ষা করতে চাই।আমাদের দেশের ছেলেরা আইটি সেক্টর সহ নানা ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে।এ ভাবে সবাই নিজেদেরকে যোগ্য করে সামনে এগিয়ে গেলে আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবেনা।বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসকে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।সঠিক ভাবে স্বাস্থবিধি মেনে চললে আমরা এ করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারবো
এর আগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম আগত এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের মাঝে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম বলেন,আমরা এ মুজিব বর্ষে জনতার পুলিশ, মানবিক পুলিশ হতে কাজ করছি। আর তারই একটি অংশ হচ্ছে ওপেন হাউজ ডে এবং বিট পুলিশিং।আইজিপি স্যার ও বিএমপি পুলিশ কমিশনার স্যারের নের্তৃত্বে আমরা জনগনের পুলিশ হতে কাজ করে যাচ্ছি।এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সেবার জন্য এয়ারপোর্ট থানাকে ৯৫ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।অনেকে নানা কারনে থানায় আসতে পারেননা।তাই তারা যেন বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সেবা পেতে পারেন। সে জন্য প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের সার্বিক সেবা নিশ্চিত করতে বিট পুলিশিং ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠান হচ্ছে পুলিশের শোধরানোর একটি বড় মাধ্যম।পুলিশ ভাল কাজ করলে তার প্রশংসা করবেন আর যদি কোন অন্যায় করে অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিবেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স।সমাজ থেকে মাদক নির্মুলে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যে কেউ মূল্যবান তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।আমাদের কোন পুলিশ সদস্য কর্তৃক কাউকে অযথা অকারনে হয়রানি করার সুযোগ নাই।কোন পুলিশ সদস্য কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত হলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।আমরা নিজেরা ভাল হয়ে সমাজকে ভাল করতে চাই।সততার চর্চা করে কাজ করলে মাননীয় প্রানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে আমরা আমাদের কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম বলেন,বিটপুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা ঘরে ঘরে পুলিশি সেবা পৌছে দিতে চাই।এজন্য প্রতিটি বিটে একজন করে পুলিশ কর্মকর্তা দেয়া হয়েছে।বিট অফিসার আপনাদের সুখ দু:ক্ষের সাথী হয়ে আপনাদের সাথে মিলে মিশে সেবা দিয়ে যাবেন।থানা হচ্ছে অসহায় মানুষের আশ্রয় স্থল। নানা কারনে সবাই থানায় এসে পুলিশি সেবা নিতে পারেননা সে জন্য বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সালের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ট্রাফিক পুলিশের টি আই বিদ্যুৎ চন্দ্র দে,বরিশাল সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এড. মাহাবুবুর রহমান মধু, মাহিন্দ্রা, অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার বাবু সহ কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা ।