বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধা নেই গ্রামীণফোনের

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

গ্রামীণফোনকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ (এসএমপি) ঘোষণার পর জারি করা দুটি নির্দেশনা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বিজ্ঞাপন প্রচারে বিধিনিষেধসহ কয়েকটি শর্ত গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

আগের দুটি নির্দেশনা স্থগিতের বিষয়টি উল্লেখ করে মঙ্গলবার বিটিআরসির পক্ষ থেকে গ্রামীণফোনকে চিঠি পাঠানো হয়।

টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) জাকির হোসেন খান সমকালকে জানান, গ্রামীণফোনকে ‘এসএমপি’ হিসেবে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে এসএমপি ঘোষণার পর আরোপিত কয়েকটি শর্ত এবং দুটি নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কেন আগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হলো— জানতে চাইলে জাকির হোসেন খান বলেন, বিটিআরসি আইনগত বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে পর্যালোচনা করে নতুন নির্দেশনা জারি করতে চায়। এ ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের বক্তব্য কী সেটাও জানতে চায়। এ কারণেই আগের নির্দেশনাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনার পর যে কোনো সময় আবারও এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে।

গ্রামীণফোনকে পাঠানো চিঠিতে ‘এসএমপি’ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে ‘এসএমপি’ ঘোষণা করে বিটিআরসি। দেশের বাজারে কোনো কোম্পানির একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে এটাই ছিল ‘এসএমপি’ জারির প্রথম ঘোষণা। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি নির্দেশনা জারি করে ‘এসএমপি’ ঘোষিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয় বিটিআরসি। এর মধ্যে একটি শর্ত ছিল, গ্রামীণফোন কোনো মাধ্যমেই নতুন কোনো সেবার প্রচার চালাতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিটিআরসির এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি শেষে আদালত গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ স্থগিতের আদেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার পরই বিটিআরসি আগের জারি করা নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নিল।

বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে গ্রামীণফোনের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হাসান সমকালকে বলেন, গ্রামীণফোন বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। গ্রামীণফোন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিশ্বাস করে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।