ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের যে অবস্থা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েছে তাতে মোদির এনডিএ জোটের পরিবর্তে এক বছর আগে গড়ে ওঠা ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খার্গ জানিয়েছেন, তারা জোটের সাবেক সদস্য তেলেগু দেশম পার্টি ও জনতা দল ইউনাইটেডকে ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আগামীকাল (বুধবার) জোটের বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৯৪টি আসন পেতে যাচ্ছে। আর বিরোধী জোট ইন্ডিয়া পেতে যাচ্ছে ২৩২ আসন। ছোটখাটো অন্যান্য দলগুলো পেতে যাচ্ছে ১৭টি আসন।
বিগত দুই নির্বাচনে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবার তা পাচ্ছে না। দলটি এবার সবমিলিয়ে ২৪০টি আসন পেতে যাচ্ছে। সেই হিসাবে তাদেরকে এবার সরকার গঠনের জন্য পুরোপুরি জোটের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দুই জোটের মধ্যে ৬২টি আসনের ব্যবধান রয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তেলেগু দেশম পার্টি ও জনতা দল ইউনাইটেড যথাক্রমে ১৬ ও ১২ টি আসন পেতে যাচ্ছে। ওডিশার নবীন পাটনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি) একটি এবং বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) পেয়েছে চারটি আসন। জোট গঠনের জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই দলগুলোর সঙ্গেও কথা হয়েছে।
ইন্ডিয়া জোটের আলাপের এই ঘটনা বিজেপির জন্য বেশ উদ্বেগজনক। কারণ তেলেগু দেশম পার্টি ও জনতা দল ইউনাইটেডকে ছাড়া সরকার গঠন আটকে যেতে পারে মোদির বিজেপির। তবে সাধারণ হিসাব অনুযায়ী, যেহেতু বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পাচ্ছে সেহেতু মোদির কাছাকাছি থাকাই পছন্দ করবে দল দুটি। তবে অনিশ্চিত এই সময়ে ইন্ডিয়া জোট পাশার দান উল্টে দিতে পারবে কিনা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই একদিন।