বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি : ৩ ডিসেম্বরের আগেই গেজেট প্রকাশের আশা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
আনিসুল হক

রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগেই অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ও আচরণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিষয়টির সুরাহা করতে বৃহস্পতিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকে শেষ করার পর তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির হুকুম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ গেজেট প্রকাশ করব। তিনি অনুমতি দিলে ৩ ডিসেম্বরের আগে গেজেট প্রকাশ করতে পারব। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমতির অপেক্ষা।

প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে এস কে সিনহা সরে যাওয়ার পর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্যের অবসানও ঘটল বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলের পার্ক এভিনিউতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠক শেষে রাত ১০টার দিকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে কিছু মতপার্থক্য ছিল। আজ আনন্দের সাথে বলতে পারি, যেসব নিরসন করেছি। মতপার্থক্য দূর করেছি। আমরা শৃঙ্খলাবিধির ব্যাপারে ঐক্যমতে এসেছি। এটা এখন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব।

চলতি মাসের ৫ নভেম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের করা চার সপ্তাহের সময়ের আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, আইনমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বসতে চান। শুনানি শেষে গেজেট প্রকাশে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়েও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এ মামলায় আমরা আবারও চার সপ্তাহ সময় নিয়েছি। আমি আদালতকে জানিয়েছি, বিষয়টির কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে আপিল বিভাগের সঙ্গে বসতে চান আইনমন্ত্রী।’

মাহবুবে আলম আরও বলেছিলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যেভাবে চাইতেন, রুলস্‌টা যেভাবে হোক, তাতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নানাভাবে কার্টেল হওয়ার বিষয় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হতে পারে, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছে সরকার। ৪ নভেম্বর আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এ ধরনের কথা হয়েছে।’