বিএমপিতে ১ মাসে ১০৭ মাদক মামলা ও ট্রাফিকে ৩৬৭৪ মামলা

:
: ৬ years ago

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ৪ থানা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) টানা ১ মাস ১০ দিনের অভিযানে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ১২৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ১০৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৩ হাজার ৬৭৪ টি মামলার অনুকুলে ২৮ লাখ ২০ হাজার ৭৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ মে) দুপুরে বরিশাল নগরের আমতলা মোড়স্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অস্থায়ী কার্যালয়ের পঞ্চম তলার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাহফুজুর রহমান-বিপিএম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত গোয়েন্দা শাখা ও ৪ টি থানা কর্তৃক মহানগরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মোট ২ হাজার ৭৭৬ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৫২ পিস অ্যাম্পুল জি-মরফিন ইনজেকশন, সাড়ে ৩ কেজি গাঁজা, ৩৫০ মিলিঃ বিদেশী মদ, ৪ লিটার চোলাই মদ, ১টি বগি দা, ২টি দা, ১টি ছোড়া, ২টি চাকু, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটর সাইকেলসহ পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ২টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

এ সংক্রান্তে ১২৫জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং এসব ঘটনায় থানাগুলোতে মোট ১শত ৭ টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

অপরদিকে ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৩ হাজার ৬৭৪ টি মামলার অনুকূলে মোট ২৮ লাখ ২০হাজার ৭৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিড়ো ট্রলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি বরিশাল নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ কাজ করে চলছে। প্রথম পর্যায়ে নগরে চলাচলরত মোটরসাইকেলকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য গত ১ মাস ১০ দিনের অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার জন্য করার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন আওতাধীন একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে ঘিরে ২/১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় এবং থানা ও গোয়েন্দা শাখা পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন।

এয়ারপোর্ট থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার সূত্র ধরে ১১ মে ডিবির সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ নাসির উদ্দির মল্লিকের নেতৃত্বে পরিদর্শক কাজী মাহবুবর রহমান ও এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন-পিপিএম এর সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ নগরে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য ও বরিশাল নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন ছাতিয়া এলাকার মোঃ মকবুল হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাশেদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।

পাশাপাশি ডাকাত সদস্যের দেয়া তথ্যানুযায়ী ছাতিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি বিদেশী অটোমেটিক পিস্তল ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। যে ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় অস্ত্রআইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন ‍পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান খান, মোঃ গোলাম রউফ খান, উত্তম কুমার পাল, মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক, খাইরুল আলমসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।