বিএনপি বারবার সহিংসতার প্রমাণ দিয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ, মানুষের ওপর আক্রমণ এবং রাজশাহীতে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিগত সবকিছু বিবেচনায় নিলে দেখায় যায় বিভিন্ন ঘটনায় তারা সহিংসতা চালায়। আর তারা যে- কতটা সহিংস হতে পারে তার প্রমাণ বারবার দিয়েছে। নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন কিছু নেই যে- তারা করতে পারে না। কয়েকদিন আগেও হাইকোর্টের সামনে ঠিক একই ধরণের কাণ্ড তারা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, এখনকার পুলিশ ও আগের পুলিশের মধ্যে পার্থক্য সেদিনই লক্ষ্য করা গেছে। আক্রমণের শিকার হওয়ার পরও তারা হাইকোর্টের সামনে অত্যন্ত পেশাদারিত্বে প্রমাণ দেখিয়েছে। খালেদা জিয়া চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। বিএনপি সব সময় মিথ্যা অভিযোগ তুলে। তারা কখনোই সত্য জিনিসকে মেনে নিতে পারে না।

আজ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি-বসুন্ধরায় বাংলাদেশ মাদরাসা কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি। মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি জহির ইবনে মুসলিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদে আকসার গ্রান্ড ইমাম শায়খ আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. আবু রেজা নিজাম উদ্দিন নদভী এমপি, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফ উদ্দিন খন্দকার, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জি হুজুর, মাওলানা জোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, ড. মতিউর রহমান, শেখ আজিম উদ্দিন, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক নদভী ও মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী।
সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ, ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের কারণে মুসলমানরা আগের স্বর্ণযুগ হারিয়ে ফেলেছে। আর আলেম-ওলামাদের সতর্ক থাকতে হবে কারা তাদের নামে কলঙ্ক ছড়ায় এবং বিভিন্ন রটনা রটায়।

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর ঘোষণার পর প্রথম প্রতিবাদ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান মসজিদে আকসার গ্রান্ড ইমাম শায়খ আলী ওমর ইয়াকুব আব্বাসী। তিনি বলেন, যখন ক্রুসেডাররা আল আকসা মসজিদ দখলে নিয়েছিল তখন তা মুক্ত করেছিলেন নন আরব সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী। এমনও হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে নন আরব হিসেবে কোন বাংলাদেশি আকসা মসজিদকে মুক্ত করতে পারেন। কেননা সাড়া বিশ্বে আরবে চেয়ে নন আরব মুসলমানের সংখ্যা বেশি।
বক্তব্য শেষে বাংলাদেশকে কল্যাণ, সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তিনি।