বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদ করা ছাড়াই চলেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) অনুকূলে থাকা বেশিরভাগ যানবাহন। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে মেয়র ও কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত যানবাহনসহ ময়লাবহনকারী ট্রাকও।
এ কারণে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা নগর ভবনের কোনো গাড়ি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে বরিশালের বাইরে কিংবা ঢাকায় যেতে অনীহা প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখা সূত্রে জানা গেছে, এক্সকেভেটর এবং পে-লোডারসহ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে ১১১টি গাড়ি রয়েছে। তারমধ্যে গত কয়েকবছরে বেশ কিছু গাড়ি বিকল হয়েছে। কিছু বাতিল করা হয়েছে। আর এসব যানবাহনের মধ্যে বেকু, পে-লোডারের মতো কিছু যানবাহন সড়কে চলতে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না।
তবে বাকি যানবাহনগুলোকে প্রতিনিয়ত ট্যাক্স, ফিটনেসসহ বিআরটিএ’র বৈধ কাগজপত্র হালনাগাদ করে নিতে হয়। যার অর্থ সিটি করপোরেশন থেকেই বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে গত পরিষদের পূর্ণ মেয়াদকালে সচল কোনো যানবাহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করা হয়নি।
গত মেয়াদে যানবাহন শাখার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিসিসির মোট ১১১টি যানবাহনের মধ্যে ৩০টি অধিক গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার প্রয়োজন এখন আর হবে না। তবে গত পাঁচ বছর ধরে বাকি যানবাহনগুলোর কাগজপত্র হালনাগাদ করা হয়নি।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের যানবাহনের কাগজপত্রের হালনাগাদের টাকা একজন সহকারী প্রকৌশলীর নামে বিআরটিএ-তে জমা দেওয়া হতো। তবে গত পরিষদের মেয়র হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর সরাসরি সিটি করপোরেশনের অনুকূলে টাকা জমা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। তখন কিছু ফাইলপত্র রেডি করা হয়েছিল। তবে যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র বিআরটিএ থেকে হালনাগাদ করা হয়নি। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজপত্র নিয়েই ময়লার ট্রাক থেকে কর্মকর্তাদের যানবাহনগুলো চলাচল করছে।
এ বিষয়ে গত পরিষদে যানবাহন শাখার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম টিপু বাংলানিউজকে জানান, ৪৮টি ময়লার গাড়ি, ছয়টি জিপ, সাতটি পিকআপ ভ্যান, একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেটকার, স্কুটার, লেডারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি, এক্সকেভেটর এবং পে-লোডারসহ বিভিন্ন ধরনের ১১১টি যানবাহনের মধ্যে সবগুলো ভালো নেই। আর এসব যানবাহনের মধ্যে যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন, সেগুলোর সবগুলোরই করা হয়েছে। তবে প্রতিবছর বিআরটিএ’র কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা থাকলেও ২০১৯ সালের পর তা আর করা হয়নি। ফলে এখন অনেক টাকারও প্রয়োজন হবে।
এদিকে প্রকৌশল ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি করপোরেশনের যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় জরুরি মিটিংয়ে যোগ দিতে ঢাকায় মন্ত্রণালয় বা সচিবালয়ে যেতে হলে সবাই গণপরিবহন ব্যবহার করেন। কারণ হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি নিয়ে বরিশালের বাইরে চলাচল করাটা কঠিন।
এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন জানিয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার বলেন, যেসব যানবাহন মেরামতযোগ্য রয়েছে ও চলাচল করতে পারবে, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com