বায়োনিক চোখে অন্ধত্বের সমাধান!

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বিভিন্ন কারণে দৃষ্টিহীনতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা চিকিৎসার মাধ্যমে সেই দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন। কিন্তু যাদের চোখ নেই কিংবা কোনো কারণে চোখ হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ আসছে বায়োনিক চোখ।

মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম বায়োনিক আই বা চোখ নির্মিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ উদ্ভাবনের ফলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও দেখতে পারবেন পৃথিবী।

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক ও কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আর্থার লোরি বলেন, আমাদের ডিজাইনটি ১৭২টি লাইটস্পট থেকে একটি প্যাটার্ন তৈরি করে; যা একজন ব্যক্তির ভেতর ও বাহিরে চলাচলের জন্য সাহায্য করবে। এটি আশপাশের বস্তুর উপস্থিতিও নিরূপণ করতে পারবে।

নিরাময় অযোগ্য নিউরোলজিকাল সমস্যায় সাহায্য করার মাধ্যমে জীবনকে আরেকটু সহজ করার উদ্দেশ্যেই আমরা এটা তৈরি করেছি, বলছেন গবেষকরা।

জানা গেছে, প্রায় দুইশ ঘণ্টার পরীক্ষা চালানো হয় ভেড়ার ওপর যাতে খুব সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গবেষকরা বলছেন, অনেকটা সফলতা পেয়েছে এ বায়োনিক চোখ।

তারা এখন প্রথম স্তরের মানবিক ক্লিনিকাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ পরীক্ষা মেলবোর্নে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা বলছেন, যাদের চোখের দৃষ্টি আংশিক বা পুরোপুরি দৃষ্টিহীন তাদের সবার কাজে আসবে এটি। বায়োনিক চোখ মূলত মানুষের রেটিনার মতোই কাজ করে। এজন্য কাঠামোগত যত নিখুঁত নকশা প্রয়োজন তা যুক্ত করেছেন গবেষকরা। মানুষের চোখের মতোই কার্যক্ষম ডিভাইসটি উচ্চ রেজুলেশন ধারণ করতে পারে। এতে থাকা ক্ষুদ্র সেন্সর ছবিকে রূপান্তর করতে পারে, যা মানুষের চোখের আলোকসংবেদী কোষের অনুরূপ। এ সেন্সরগুলো অ্যালুমিনিয়াম এবং টাংস্টেন দিয়ে তৈরি একটি ঝিল্লির মধ্যে থাকে, যা মানুষের রেটিনা নকল করার উদ্দেশ্যে অর্ধগোলকের আকারে তৈরি।