বাড়ির ওপর দিয়ে প্রতিবেশীকে হাঁটতে না দেয়ার শোধ নিতেই বরিশালের বাকেরগঞ্জে চার শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগ স্বজনদের। তবে অভিযোগ প্রত্যাখান করে ‘কোনো বিরোধ নেই’ বলে দাবি বাদীর স্ত্রী’র।
আর পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলার পুলিশ সুপার।
রুনশী গ্রামে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদীপক্ষ আসামিপক্ষের বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতেন। নানা কারণে দুই পক্ষের বিবাদে অবনতি হয় সম্পর্কের। এ কারণে বাদী পক্ষকে বাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াতে বাধা দেয়া হয়। এ কারণে অল্প দিনের ব্যবধানে ওই বাড়ির নাবালক শিশুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দেয়া হয় বলে দাবি নাবালক ৪ শিশুর স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, তাদের বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটতে না দেয়ায় এ মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে মামলার বাদীপক্ষের দাবি তাদের কোনো বিরোধ নেই ।
মামলার বাদীর স্ত্রী ও নির্যাতিতার মা বলেন, আমাদের এ রকম জমিজমা নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না। তারা বাঁচার জন্যে এখন নানা কথা বলছে।
তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার। গাফিলতির প্রমাণ পেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
বরিশাল পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে পুলিশে যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রেফতারে ভীত ৪ নাবালক শিশুর মনোবিকাশে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন এই কর্মকর্তা।
বরিশাল জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, শিশু চারজন বন্দি ছিল। আমরা তার মানসিক কাউন্সিলিং করবো।
বৃহস্পতিবার রাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৪ নাবালক শিশুকে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে পরিবারের হাতে তুলে দেয় প্রশাসন। গত ৬ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে এক কন্যা শিশুর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় ৭ অক্টোবর। আদালতের নির্দেশে একই দিন যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল তাদের।