প্রায় তিন মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত মঙ্গলবার বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার পর গত দুইদিন গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দোতলায় নিজকক্ষে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার আগে বাসার সবার কোভিড টেস্ট করা হয়। করোনার ঝুঁকির কারণে নেতাকর্মীদের আপাতত সাক্ষাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। দিনে ও রাতে দুইজন নার্স দুই শিফটে ডিউটি করছেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বোন সেলিমা ইসলাম বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের খাবার নিয়ে বাসায় আসলে তিনি সে খাবার খান। একই সঙ্গে বোনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন। এরপর লন্ডনে থাকা ছেলে, ছেলের বউ, নাতনিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে সময় কাটান। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি পান করেন। এরপর হুইল চেয়ারে করে কিছুটা সময় বারান্দায় রোদ পোহান। এছাড়া টেলিভিশন দেখে ও বই পড়ে সময় কাটান।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. আল মামুনসহ দুইজন চিকিৎসক বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাসায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন। নতুন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হয়নি। এ দিনও সেলিমা ইসলাম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও গিয়েছিলেন তাকে দেখতে।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন গৃহকর্মী ফাতেমা ও রুপা। তারাই সার্বক্ষণিক তার দেখাশোনা করছেন। খাবারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছেন। প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যুপ, ছোট মাছ, মুরগির মাংস ও সবজি। করোনা পরিস্থিতি ও শারীরিক ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে চিকিৎসা চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। করোনার কারণে নেতাকর্মীদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে জানানো হবে।