বরিশালে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ফাহিমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিল ইউএনও

:
: ৭ years ago

লেখাপড়া করতে চায় কিশোরী ফাহিমা আক্তার (১৩)। কিন্তু তার লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে ঠিক করে বাবা-মা। শুক্রবার বিয়ের পূর্ব নির্ধারিত দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন জানতে পেরে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে ফাহিমার পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের হানিফ বেপারীর মেয়ে ফাহিমা স্থানীয় নুরুন্নেছা কাদের মেমরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার তাকে একই উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামের ইউনুচ মাঝির ছেলে সঙ্গে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে দুই পরিবার।

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রাশেদ জানান, একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বিয়ে দেওয়ার খবর জানতে পারেন তিনি। এই তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি বিয়ের আয়োজন দেখতে পান। শুক্রবার মেয়েটিকে ছেলে পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীর বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং  নুরুন্নেছা কাদের মেমরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে মেয়ের বাবার হাতে ফাহিমাকে তুলে দেওয়া হয়। যতদিন পর্যন্ত ফাহিমার বয়স ১৮ পূর্ণ না হবে ততদিন পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার কারানো হয়। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফাহিমার পড়াশুনার খরচ বহন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ নিয়ে গত এক বছরে ৩২টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে তাদের শিক্ষার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসন নিয়েছে বলে জানান ইউএনও।