সংসদীয় শিশু অধিকার ককাসের সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ বলেছেন, মেয়ে শিশুরা বধু নয়, স্কুলে যাবে। স্ত্রী হিসেবে পরিচয় কিংবা রান্নাঘর তার জন্য নয়। বাংলাদেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে তরুণরা এগিয়ে আসলে তা সম্ভব। যুবকদের উদ্যোগে এবং সরকারি- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্নিত কার্যক্রমে অচিরেই বাল্যবিয়ে দূর করা সম্ভব হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের রোল মডেল। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিশ্বের চেয়ে বৃহত্তম নাগরিক সংস্থার নেটওর্য়াক গার্লস নট ব্রাইডস’র দ্বিতীয় গ্লোবাল মিটিংয়ের শিখন বিনিময় বিষয়ক এক যুব সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ ও ডেইলি স্টারের যৌথ আয়োজনে তারুণ্যের শক্তি বিষয়ক এ সমাবেশে সভায় বিভিন্ন সুশীল সমাজ প্রতিনিধির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যুব, কিশোর কিশোরী সহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহনকারী অংশ নেয়। গালর্স নট ব্রাইডস বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়ক আন্না মিনজের সভাপতিত্বে আলোচনায় মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত গার্লস নট ব্রাইডস’র দ্বিতীয় গ্লোবাল মিটিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন শাহারিয়ার সিফাত ও মেঘলা আক্তার শান্তা। একই বিষয়ে বরিশাল ও রংপুরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উত্থাপিত যুবদের মতামত তুলে ধরেন গার্লস নট ব্রাইডস গ্লোবাল অ্যাডভোকেট ও বরিশাল নেটওর্য়াকের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান এবং রংপুর নেটওর্য়াকের সদস্য সারওয়ার জামিল খন্দকার প্রমুখ।
ব্রাকের জেন্ডার জাস্টিস এ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মুক্ত ও দলীয় আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণরা বাল্যবিয়ে বন্ধে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণে সমাধান নিরূপনসহ যুব নেটওয়ার্ক তৈরীতে উদ্যোগী হতে আহবান জানান। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, বাল্যবিয়ে হ্রাসে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি সাধন করেছে । বাল্যবিয়ে প্রতিরোধসহ সামাজিক সমস্যা সমাধানে তরুণদের উদ্যোগী হতে হবে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের জণগনের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। তরুণরাই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে। সম্মিলত প্রচেষ্টায় বাল্যবিয়েকে প্রতিহত করার পাশাপাশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের উপর তিনি গুরুত্বপূর্ন আরোপ করেন। সভাপতির বক্তব্যে গালর্স নট ব্রাইডস বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়ক আন্না মিনজ বলেন, বাল্যবিয়ে মানে একটি সম্ভাবনার অপমৃত্যু। এর কারনে মেয়েদের কারনে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তরুণরা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক বাল্য বিয়ে রুখে দিয়ে শুধু বসে থাকছে না তা নিয়মিত মনিটর করছে। এটাই হওয়া দরকার। এই সফলতা ধরে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি এই বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে আরো তৃণমৃলে সম্প্রসারিত করতে হবে।