বাবুগঞ্জের কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

:
: ৪ years ago

:বরিশাল জেলায় ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে জেলায় চিকিৎসকসহ ২০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে এগিয়ে আছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা। জেলার দশটি উপজেলার মধ্যে এ উপজেলাটিতে আক্রান্ত সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ জন। উপজেলাটিতে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করায় লকডাউন করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় একাধিক বাড়িঘর।

অপরদিকে এ উপজেলাটিতেই রয়েছেন রাজনৈতিক বড় বড় নেতাদের বাড়িঘর। যাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন-এমপি অন্যতম।

কিন্তু চলমান করোনা দুর্যোগের মধ্যে উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে নেই এই নেতারা। তবে এ উপজেলার বাসিন্দা না হয়েও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামীলীগের অভিভাবক খ্যাত এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

বাবুগঞ্জ উপজেলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও করানো ভাইরাসের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেহেরগতি ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন মন্ত্রী পদমর্যাদার এই নেতা।

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন দেহেরগতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রথম দিনে বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজনার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এ কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।

এরপর পরবর্তী আরো পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করেন পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ওই পাঁচজনের শরীরেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ খুঁজে পাওয়া যায়। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও আশেপাশের অধিকাংশ বাড়িঘর লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।

এই খবর জানতে পেরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেন আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-এমপি। এর পরপরই তিনি ওই উপজেলার অসহায় এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।